
কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে ফের এক বেনজির ছবি। রাস্তা থেকে টেনে টেনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তোলা হচ্ছে বাসে। দেওয়া হচ্ছে ঘাড়ধাক্কা! বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নেমে, কেন এমন হেনস্থার শিকার হতে হল? প্রশ্ন তুলছে শিক্ষক মহল। ইতিমধ্যেই ৩০০-র বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বাসে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লালবাজারে। সেখানেও চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি ধরা পড়ছে বলে অভিযোগ।
যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষকদের পৃথকীকরণ করা যাচ্ছে না বলে হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অবিলম্বে যাতে পৃথকীকরণ করা হয়, তার জন্য বৃহস্পতিবার ডোরিনা ক্রসিং-এ ধরনায় বসেছিলেন শতাধিক শিক্ষক। কালীঘাটে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। তার আগেই বাধা দেওয়া হয়। এরপর একে একে বাসে তুলে নেওয়া হয় তাদের।
পুলিশের দাবি, প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে ট্রাফিক বন্ধ ছিল। বিক্ষোভকারীরা নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন না। তাই জায়গাটা পরিষ্কার করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, ৫০০ জন জোর করে চলে এসেছে।
প্রায় ৩০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে লালবাজারের মধ্যে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে নানারকমভাবে অত্যাচার শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের একাংশের। তাঁরা বলছেন, “ম্যাডামদেরকে বলা হচ্ছে, আপনারা জেন্টস টয়লেটে যান। টিচারদেরকে বলা হচ্ছে আপনারা এখানে বসে জল খেতে পারবেন না।”
এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী দেখা না করলে, তাঁরা আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় ‘ডিউটি’ করবেন না। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে শিক্ষা মহল। প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি চন্দন মাইতি বলেন, “লজ্জার, অমানবিক ছবি। কলকাতা শহরে এমন ঘটনা ঘটবে, এটা মেনে নিতেও কষ্ট হচ্ছে। শিক্ষকদের যারা লাঠিপেটা করল, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা উচিত অবিলম্বে।”