কলকাতা: রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীকে ঘিরে। সিসিটিভি ফুটেজে সোহমের মারধর করার ছবি প্রকাশ্যে আসার পর প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে একজন জনপ্রতিনিধি এমন কাজ করতে পারেন? আদালত পর্যন্ত গড়ায় সেই মামলা। বৃহস্পতিবার অবশেষে সেই মামলায় স্বস্তি পেলেন সোহম। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে, তারপরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাঁকে। অভিযোগ, আদালত কক্ষে না বসে সরকারি আইনজীবীর জন্য নির্দিষ্ট ঘরে বসেছিলেন সোহম। জামিন পাওয়ার আগেই আদালত চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান বলেও অভিযোগ।
এদিন সকাল ১০ টায় বারাসত আদালতে আগাম জামিনের আর্জি জানান তিনি। এরপর দীর্ঘক্ষণ পিপির ঘরে বসে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। এরপর আদালত চত্বর ছেড়ে বেরিয়ে যান। ফৌজদারী মামলায় জামিন নিতে গিয়ে সরকারি আইনজীবীর ঘরে কেন বসলেন তিনি? তবে আইনজীবীর দাবি, বারাসতের বাইরে যাননি সোহম। বেলা ১ টায় জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
এদিকে, সোহমের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হোটেলের মালিকও। রেস্তোরাঁর মালিক আনিসুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে হুমকির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ। তাই নিরাপত্তা আর্জি ও তদন্তের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিক। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে তাঁর। বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ মামলা করার অনুমতি দিয়েছে।