কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে আরও এক মহিলার নাম সামনে এসেছে। রহস্য়ময় লেনদেনের সূত্র খুঁজে বের করতে তাই শুক্রবারই তলব করা হয়েছিল সোমা চক্রবর্তী নামে এক মহিলাকে। এদিন দীর্ঘ ছ ঘন্টা কুড়ি মিনিট ধরে সোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এদিন দুপুরেই ইডি অফিসে যান তিনি। সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান তিনি। মূলত লেনদেনের বিষয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর লেনদেন কথা জানতে পেরেই তাঁকে তলব করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
এদিন সোমার বয়ান রেকর্ড হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। পাশাপাশি, বেশ কিছু তথ্যও জমা দিয়েছেন সোমা। জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি তিনি। ক্যামেরা দেখেই হাত দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করেন। পরে একটি অটোতে চেপে চলে যান তিনি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতায় একটি পার্লার রয়েছে তাঁর।
সূত্রের দাবি, কুন্তলের সঙ্গে ব্যাঙ্কে লেনদেনের সূত্রে তলব করা হয়েছে সোমাকে। মিডলম্যানের মাধ্যমে মোটা টাকার লেনদেনের হদিশ মেলে বলে সূত্রের দাবি। এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কুন্তলের টাকা স্যালোঁ ব্যবসাতেও খাটানো হত? ইডি জানতে চায়, কেন সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে।
তবে কুন্তলের দাবি, তিনি সোমাকে চেনেন না। প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি জানি না। আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, যার সঙ্গে যোগাযোগ আছে খুঁজে দেখুন।” একইসঙ্গে গোপাল দলপতির নামে আবারও এদিন অভিযোগ করেন কুন্তল।