Jessop Company: শতাব্দী প্রাচীন জেসপ কারখানা হয়ে গেল ‘শ্রী দুর্গা কটন মিলস’! ভিতরে প্রবেশ করল কারা?
Jessop Company: আদালতের নির্দেশ, কেউ ভিতরে প্রবেশ করবে না। রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীও। তারপরও এই ঘটনা কী ভাবে? দায়ের হল লিখিত অভিযোগ।
কলকাতা : শতাব্দী প্রাচীন জেসপ কারখানা এখন বন্ধ। ভিতরে কাজ হয় না, তবে আদালতের নির্দেশে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী। কারখানার ভিতরে যাতে কেউ প্রবেশ না করে, সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ রয়েছে। তবে সেই বন্ধ কারখানায় আচমকাই বদলে গেল সংস্থার নাম! বাইরে থেকে দেখে এমনটাই মনে করেছেন অনেকে। সোমবার সারাদিনই প্রায় চোখে পড়েছে কারখানার সামনের বোর্ডে লেখা ‘শ্রী দুর্গা কটন মিলস।’ মঙ্গলবার সকালে সেটি উধাও। নিরাপত্তারক্ষীরা জানালেন, কারখানার ছোট গেট দিয়ে প্রবেশ করেছিলেন ২০০ থেকে ২৫০ জন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে আইএনটিটিইউসি-র তরফে।
শ্রী দুর্গা কটন মিলসের সেই বোর্ড লাগানোকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। স্থানীয় সূত্রে খবর, স্থানীয় বিধায়কের নির্দেশে এই বোর্ড লাগানো হয় সিনেমার শুটিংয়ের জন্য। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, শতাব্দী প্রাচীন এই কারখানায় কারও প্রবেশ নিষেধ। নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে কেউ প্রবেশ করলেন? কে অনুমতি দিল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আইএনটিটিইউসি পরিচালিত শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দমদম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইউনিয়নের তরফে দাবি করা হয়েছে, এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, যাঁরা প্রবেশ করেছিলেন কারখানার মধ্যে, তাঁদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যের এক মন্ত্রী। তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে এ কথা স্বীকার করেননি কেউ।
কারখানার নিরাপত্তারক্ষীদের সুপারভাইজার লক্ষণ সরোজ জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁরা ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন। তাই মূল গেট দিয়ে না ঢুকে ছোট গেট দিয়ে প্রবেশ করেন বেশ কয়েকজন। অন্তত ২৫০ জন ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে ছিল পুলিশ। তাঁর দাবি, পুলিশ বলায় তাঁরা বাধা দেননি। ভিতরে শুটিং চলছিল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
অভিযোগে কর্মীদের ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার রাত ১০ টার পর তাঁরা বিষয়টা সম্পর্কে অবগত হন। তাঁদের দাবি, অনেকে জমি দখল করার পরিকল্পনা করছে, তাই পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তাঁরা।