AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Calcutta municipal corporation: জমা জলে বাড়ছে ডেঙ্গি, TMC কাউন্সিলরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ

এক বাসিন্দা বলেন, "দিদি এসে একবার দেখল। একবার পাম্প দিয়ে জল বের করে চলে গেল। এখানে বাচ্চাদের প্রায় জ্বর হচ্ছে। এখানে ঝামেলা হয়েছে। আমাদের মেয়েদের মারধর করা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "৪০-৫০ বছর ধরে আছি। কোনওদিন এমন হত না। এই কয়েকদিন হল, যাতা অবস্থা। খাটের উপর উঠে রান্না হচ্ছে। চাল-ডাল সব ভেসে গেছে। দশ দিন আমি কাউন্সিলরের কাছে গেছি। খালি বলছে হবে আর হবে। একবারও আসেনি।"

Calcutta municipal corporation: জমা জলে বাড়ছে ডেঙ্গি, TMC কাউন্সিলরকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ
কলকাতায় বিক্ষোভImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 07, 2025 | 7:20 PM
Share

কলকাতা: উত্তরবঙ্গে ত্রাণ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। সোমবারের পর মঙ্গলবারও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। তবে শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, এবার খাস কলকাতাতেও বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কলকাতা পুরসভার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৌসুমী দাস।

কলকাতা পুরসভার ৯৩ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ১৪০ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড। পুকুর বা ডোবা সংলগ্ন বস্তিতে অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান জল দাঁড়িয়ে যায়। কয়েকদিন আগে ভারী বৃষ্টিতে কোমর সমান জল হয়েছে বস্তিতে। আবর্জনা ভর্তি সেই জমা জলেই দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। জল এখনও নামেনি। বৃষ্টি এলেই আতঙ্ক গ্রাস করে বস্তিবাসীদের। দীর্ঘদিনের সমস্যা স্থানীয় কাউন্সিলরকে বারংবার জানিয়েও সুরাহা হয়নি। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা। ডেঙ্গি,ম্যালেরিয়ার আঁতুড়ঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে এই বস্তি। ফি বছরই কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছে। অভিযোগ বাসিন্দাদের।

আজ সকালে স্থানীয় কাউন্সিলর মৌসুমি দাসের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে কাউন্সিলরের অনুগামীদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার অভিযোগ জানান মহিলারা। কাউন্সিলর বস্তিতে গেলেও মিলেছে শুধুই আশ্বাস। বছরভর এই আশ্বাসেই দিন কাটছে বাসিন্দাদের। লেক থানায় বিষয়টি জানান বাসিন্দারা। নোংরা জমা জলে দিনের পর দিন কাটিয়ে রীতিমতো জীবন বিপন্ন হয়ে উঠেছে স্থানীয়দের বলে অভিযোগ।

এক বাসিন্দা বলেন, “দিদি এসে একবার দেখল। একবার পাম্প দিয়ে জল বের করে চলে গেল। এখানে বাচ্চাদের প্রায় জ্বর হচ্ছে। এখানে ঝামেলা হয়েছে। আমাদের মেয়েদের মারধর করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “৪০-৫০ বছর ধরে আছি। কোনওদিন এমন হত না। এই কয়েকদিন হল, যাতা অবস্থা। খাটের উপর উঠে রান্না হচ্ছে। চাল-ডাল সব ভেসে গেছে। দশ দিন আমি কাউন্সিলরের কাছে গেছি। খালি বলছে হবে আর হবে। একবারও আসেনি।” মৌসুমি দাস বলেন, “এই পুকুরটা ওয়াকফ সম্পত্তি। সেই কারণে এর সংস্কার করা যাচ্ছে না। পুরসভার একটা মামলা চলছে হাইকোর্টে। পুকুর পরিস্কারের টাকা এখনও পায়নি। সেই কারণে কাজে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে পুকুর পাড়ের বাড়ি গুলোর বেশি সমস্যা। বড় ইঞ্জিনিয়ার আসবেন।”