Sonali Khatun: ‘সোনালিকে চোখ বেঁধে অন্য রাষ্ট্রে ফেলে এসেছিল’, মুখ খুললেন চন্দ্রিমা

chandrima bhattacharya On Sonali Khatun: মালদহে বাংলাদেশ বর্ডার দিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন এবং তাঁর ৮ বছরের নাবালক সন্তান। কিন্তু সোনালি ফিরলেও, তাঁর স্বামী-সহ অন্যান্য সদস্যরা ফিরতে পারেননি। তার জন্য কিছুটা ক্ষোভ সোনালির।

Sonali Khatun: সোনালিকে চোখ বেঁধে অন্য রাষ্ট্রে ফেলে এসেছিল, মুখ খুললেন চন্দ্রিমা
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 06, 2025 | 6:03 PM

কলকাতা: সংহতি দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোনালি খাতুনকে নিয়েই মুখ খুললেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আরও একবার বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি।  সাংবাদিক বৈঠক করে চন্দ্রিমা বলেন, “সোনালি বিবিকে কাপড়ে চোখ বেঁধে রাতে অন্য রাষ্ট্রে ফেলে এসেছে। ঘটনাটি ঘটিয়েছে বিজেপি সরকার।। আমাদের কথা কর্ণপাত করেনি। কিন্ত সত্যের জয় হয়।”

মালদহে বাংলাদেশ বর্ডার দিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছেন অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন এবং তাঁর ৮ বছরের নাবালক সন্তান। কিন্তু সোনালি ফিরলেও, তাঁর স্বামী-সহ অন্যান্য সদস্যরা ফিরতে পারেননি। তার জন্য কিছুটা ক্ষোভ সোনালির। দেশে ফিরে সোনালিও বলেছেন, “বাংলাদেশে খুব কষ্টে ছিলাম। ভারতে ফিরে আসতে পেরে সত্যিই ধন্য। ৮ মাসের ওপরে বাংলাদেশের ছিলাম। দিল্লি পুলিশ আমাদের ওপর অমানবিক অত্যাচার করেছিল। আমরা অনেক অনুরোধ করেছিলাম। তারপরও আমাদেরকে বিএসএফকে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।”

ঠিক এই প্রসঙ্গই চন্দ্রিমা বলেন, “ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সব কিছু নথি দেওয়ার পরও তাঁকে আটকে রাখা হয়েছিল। তারপরও তাঁর সঙ্গে এমন হয়েছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের বাংলার প্রতি ঘৃণা।”

প্রসঙ্গত, কাজের সন্ধানে দিল্লিতে গিয়েছিলেন বীরভূমের পাইকরের বাসিন্দা সোনালি বিবি ও সুইটি বিবির পরিবার ৷ অভিযোগ, তাঁদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও গত ১৭ জুন তাঁদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ ৷ শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য তাঁদের বাংলাদেশি বলে সন্দেহ করা হয় ৷ সেই সন্দেহের বশে ২৬ জুন অসমের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ‘পুশব্যাক’ করে ছ’জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয় ৷

তবে এখনও আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি সোনালি। আর কোনওদিনও দিল্লি যাবেন না বলেও জানিয়ে দিলেন। এখনও তাঁর স্বামী, অন্যান্য সদস্যরা ফিরতে পারেননি। সেই উৎকন্ঠা তো এখনও রয়েছে।  তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি বাকিদেরও ফেরাতে হবে।