Sourav Ganguly: ‘ওঁ আমার চোখের সামনে ছিটকে কোথায় যেন চলে গেল…’ পুরীর জগন্নাথ ধামে গিয়ে মৃত্যুমুখে সৌরভ গাঙ্গুলির দাদা-বৌদি

Sourav Ganguly: শনিবার  পুরীতে গিয়ে স্পিডবোটে উঠেছিলেন স্নেহাশিস ও অর্পিতা। প্রতিকূল আবহাওয়া ছিল। স্পিডবোটে তাঁরা তখন মাঝ সমুদ্রে, হঠাৎই বিশাল একটা ঢেউ আসে। উল্টে যায় তাঁদের স্পিডবোট। ওই স্পিডবোটে  প্রায় চার জন দম্পতি ছিলেন। তাঁরা সবাই বোট থেকে ছিটকে যান।

Sourav Ganguly:  ‘ওঁ আমার চোখের সামনে ছিটকে কোথায় যেন চলে গেল…’ পুরীর জগন্নাথ ধামে গিয়ে মৃত্যুমুখে সৌরভ গাঙ্গুলির দাদা-বৌদি
স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রীImage Credit source: TV9 Bangla

May 26, 2025 | 3:09 PM

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সৌভিক সরকার:  সস্ত্রীক পুরীতে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সদ্য বিবাহিত দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। সেখান থেকে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে এলেন তাঁরা। ফিরে এসে নিজের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন TV9 বাংলার কাছে।

জানা যাচ্ছে, শনিবার  পুরীতে গিয়ে স্পিডবোটে উঠেছিলেন স্নেহাশিস ও অর্পিতা। প্রতিকূল আবহাওয়া ছিল। স্পিডবোটে তাঁরা তখন মাঝ সমুদ্রে, হঠাৎই বিশাল একটা ঢেউ আসে। উল্টে যায় তাঁদের স্পিডবোট। ওই স্পিডবোটে  প্রায় চার জন দম্পতি ছিলেন। তাঁরা সবাই বোট থেকে ছিটকে যান। কেবলমাত্র পা আটকে যায় অর্পিতার।  চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকেন প্রত্যেকে।  স্থানীয় বাসিন্দা ও নুলিয়াদের তৎপরতায় তাঁদের প্রাণ বাঁচে।

প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। তবে ঘটনার আকস্মিকতায় তাঁরা প্রত্যেকেই ভীষণ ভীত সন্ত্রস্ত। সোমবারই বাড়ি ফিরে এসেছেন স্নেহাশিস ও অর্পিতা। TV 9 বাংলাকে নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন অর্পিতা।

অর্পিতার কথায়, “পুরীতে জগন্নাথ দর্শন করতে গিয়েছিলাম। বিচে বসেছিলাম। বাইরে গেলে স্পিডবোটে যাই। আমরা স্পিডবোটে যাই। তবে একটা সন্দেহ হয়েছিল। কারণ স্পিড বোটে ফুল সিট ভর্তি হয়ে গেলে, কোনও অসুবিধা হয় না। ভারসাম্যটা বজায় থাকে। কিন্তু আমরা যখন উঠি, চার জন ছিলাম। আমি জিজ্ঞাসাও করেছিলাম, চার জন উঠলে কোনও সমস্যা হবে না তো? ওরা বলল নাহ! আমরা উঠেও যাই। প্রথম ঢেউটা এল, জার্ক হল, আরও ভিতরে যখন ঢুকলাম, তখন দশ তলা মতো একটা ঢেউ এল। যারা চালাচ্ছিল, তাদের সঠিক প্রশিক্ষণ ছিল না। পুরো বোট পাল্টে যায়। ওঁ (স্নেহাশিস) কোথায় ছিটকে চলে গেল, আমি জানি না। আমার পাশের মহিলা আমার মাথার ওপর এসে পড়েন। আমার পা-টা বোটে আটকে গিয়েছিল, বেরোতে পারছিলাম না। বোট আরও ভিতরে চলে যাচ্ছিল। নুলিয়ারা না থাকলে আমরা কেউই বাঁচতাম না। ওঁদেরই কেউ একজন আমার পা-টা টেনে বার করে উদ্ধার করেন।” তবে তিনি এও অভিযোগ করেছেন, “স্পিডবোট যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই সঠিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। তাই ওড়িশা সরকারের কাছে এটা আমার অনুরোধ, যাতে এটা ব্যান করে দেওয়া হয়।”