South Dumdum: ‘দেখ তো ঘরের রং ঠিকমতো হচ্ছে কি না….’, ছেলেটাকে বাইরে পাঠিয়েই প্রোমোটার এই কাণ্ড ঘটাবেন! স্তম্ভিত দমদমের লোকজন

South Dumdum: বুধবার সকাল দশটা নাগাদ তাঁর অফিসে কর্মীরা গোপেনবাবুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

South Dumdum: দেখ তো ঘরের রং ঠিকমতো হচ্ছে কি না...., ছেলেটাকে বাইরে পাঠিয়েই প্রোমোটার এই কাণ্ড ঘটাবেন! স্তম্ভিত দমদমের লোকজন
কান্নায় ভেঙে পড়লেন সকলেImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 13, 2025 | 2:13 PM

দক্ষিণ দমদম: পাওনাদাররা মাঝে-মধ্যেই আসতেন, তারপর টাকা চাইতেন। রোজ-রোজ মানুষজনের এই টাকা চাওয়ার দাবি-দাওয়া নিয়ে আর পারছিলেন না। পরিবারের দাবি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। আর তারপরই অপমানে আত্মঘাতী এক প্রোমোটার। পরিবারের দাবি, ঋণের চাপে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। দক্ষিণ দমদমের বেদিয়াপাড়ার ঘটনা।

মৃতের নাম গোপেন দাস (৫৫)। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর দেনায় জর্জরিত ছিলেন তিনি। পাওনাদারদের নিয়মিত তাগাদায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এলাকায় কানাঘুষো চলছে, অর্থনৈতিক সমস্যার পাশাপাশি কিছু রাজনৈতিক চাপও নাকি বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে স্থানীয় কাউন্সিলরের  দাবি, ঋণের দায় পাওনাদারদের অপমানেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।

বুধবার সকাল দশটা নাগাদ তাঁর অফিসে কর্মীরা গোপেনবাবুকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। প্রাথমিকভাবে অনুমান, তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপেন দাসের একমাত্র মেয়ের বয়স কুড়ি বছরের। যার ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন গভীর উদ্বেগে রয়েছেন তার স্ত্রী সম্পা দাস।

তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “উনি অফিসে ছিলেন। তখন লোকও ছিল। এবার অফিসের একটি ছেলেকে বলেছিলেন দেখ তো রং ঠিক মতো হচ্ছে কি না। ছেলেটা যেই বাইরে গিয়েছে অমনি ঘটনা ঘটিয়েছে।” মৃতের স্ত্রী বলেন, “অনেক ধার-দেনা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কারও সঙ্গে চিটিংবাজি করেছেন কেউ বলতে পারবেন না। টাকা হয়ত দিতে দেরী হয়েছে। কিন্তু চিটিংবাজি করেনি। আমার মেয়েটা সবে দাঁড়াচ্ছিল সব স্বপ্ন শেষ করে দিল। আমি হোম ডেলিভারি শুরু করেছিলাম। সব ঠিক হয়ে যেত। অথচ…সব ফেলে রেখে চলে গেল।”