Governor letter to CM: শপথ-দ্বন্দ্বে নয়া মোড়! ‘বিধানসভায় আসুন’, রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠি স্পিকারের

Pradipto Kanti Ghosh | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 26, 2023 | 7:28 PM

Governor letter to CM: সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে রাজ্যপাল দাবি করেছেন, নির্মলচন্দ্র রায় তপশিলি জাতির একজন প্রতিনিধি, তাই তাঁকে রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করালে রাজভবনের গরিমা বাড়বে। ১৮ দিন ঘরে আটকে রয়েছে বিধায়কের শপথ।

Governor letter to CM: শপথ-দ্বন্দ্বে নয়া মোড়! বিধানসভায় আসুন, রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠি স্পিকারের
রাজ্যপালকে পাল্টা চিঠি স্পিকারের
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: উপ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ১৮ দিন কেটে গেলেও শপথ নিতে পারেননি বিধায়ক পদে নির্বাচিত নির্মলচন্দ্র রায়। রাজভবন আর রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে চিঠির আদান-প্রদানও হয়েছে ইতিমধ্যেই। আর এবার সেই তরজায় নয়া মোড়। কোথায় শপথ নেবেন নির্মল রায়, তা নিয়েই শুরু নয়া দ্বন্দ্ব। ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ককে রাজভবনে ডেকে শপথ বাক্য পাঠ করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সে কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। এরপরই পাল্টা চিঠিতে রাজ্যপালকে বিধানসভায় আসার অনুরোধ জানালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে রাজ্যপাল দাবি করেছেন, নির্মলচন্দ্র রায় তপশিলি জাতির একজন প্রতিনিধি, তাই তাঁকে রাজভবনে শপথবাক্য পাঠ করালে রাজভবনের গরিমা বাড়বে। রাজ্যপালের দাবি, এই শপথ গ্রহণ বার্তা দেবে যে রাজভবন সবার জন্য খোলা। মুখ্যমন্ত্রী সেই চিঠির প্রতিলিপি স্পিকারকে পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এরপরই রাজভবনে একটি পাল্টা চিঠি পাঠান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্পিকারের দাবি, বিধানসভার গরিমা, রাজভবনের থেকে অনেক বেশি। এখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ শপথ গ্রহণ করেছেন। তাই রাজ্যপালকে বিধানসভায় গিয়ে শপথ গ্রহণ করানোর কথা বলেছেন স্পিকার। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপাল যখন শপথ বাক্য পাঠ করানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তখন তিনি যেন বিধানসভায় আসেন।

উল্লেখ্য, রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছিল, নির্মল রায়কে শপথের দিনক্ষণ জানানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। অথচ নির্মলচন্দ্রের দাবি, তিনি চিঠিটি পেয়েছেন সেই নির্ধারিত দিনের ৪৮ ঘণ্টা পর। এতে ক্ষুব্ধ হয় রাজ্য সরকার। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এরপর রাজ্যপাল শোভনদেবকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানান, শপথের দিন তিনি ঠিক করে দিয়েছিলেন, কিন্তু পরিষদীয় দফতরে সেই ফাইলে সই করার মতো কেউ ছিলেন না।

Next Article