Topsia:’আপনি শিক্ষিত, তারপরও এরকম…’, কী করেছেন তপসিয়ার BLO? ভোটারদের সামনেই চরম রেগে গেলেন বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগান
SIR In WB: একাধিক বিষয়ে তাঁকে বিএলও-র উদ্দেশে এই ধরনের কথা বলতে শোনা যায়। বিএলও-র উদ্দেশে তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, "এখান অনেক বুথ রয়েছে, কোথাও এই ধরনের সমস্যা হয়নি। আপনার সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে? কেন এই ধরনের ভুল হচ্ছে? আপনি নিশ্চয়ই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন না।"

কলকাতা: বিএলও-কে দাঁড় করিয়ে রীতিমতো ধমক কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষকের। ১১ ডিসেম্বর এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু এখনও তপসিয়ায় একটি বুথের ৭২০ জনের মধ্যে ১০৫ জনের ফর্ম এখনও বিলিই করতে পারেননি বিএলও। তপসিয়া, তিলজলা এলাকায় গিয়ে তথ্য তালাস করলেন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগান। বিএলও-র কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। ভোটারদের সামনেই দাঁড়িয়ে রীতিমতো ধমক দিলেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ১০৫ জন কোথায়? এখনও কেন কমিশনের পোর্টালে কিছু আপলোড হয়নি?
সে প্রশ্নের উত্তর ঠিক মতো দিতে পারেননি বিএলও। তারপরই বিশেষ পর্যবেক্ষককে বলতে শোনা যায়. “আপনি শিক্ষিত মানুষ, এত ভুল কী করে হয়!” একাধিক বিষয়ে তাঁকে বিএলও-র উদ্দেশে এই ধরনের কথা বলতে শোনা যায়। বিএলও-র উদ্দেশে তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, “এখান অনেক বুথ রয়েছে, কোথাও এই ধরনের সমস্যা হয়নি। আপনার সমস্যাটা কোথায় হচ্ছে? কেন এই ধরনের ভুল হচ্ছে?” বিএলও নিশ্চুপ থাকেন। বিশেষ পর্যবেক্ষক তাঁকে বলেন, “আপনি নিশ্চয়ই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন না। তাই এই সমস্যা হচ্ছে। আপনি শিক্ষিত, তবুও কেন এত ভুল? ” ১১ ডিসেম্বরের পর তিনি ফের তপসিয়া এলাকায় যাবেন, বিএলও-র কাজ শেষ হয়েছে কিনা, তা সবই খতিয়ে দেখবেন বলে আগাম জানিয়ে আসেন বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগান।
প্রসঙ্গত, এসআইআর পর্বের প্রথম পর্যায়ে এই তপসিয়া, কসবা এলাকা থেকেও বিএলও-দের একাংশ অভিযোগ করছিলেন জোর করে ফর্মে নাম তোলানোর চেষ্টা চলছে। সেক্ষেত্রে অনেকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন। পরে তাঁরা গোটা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে মেইল করে জানিয়েছিলেন নিরাপত্তা চেয়ে। এখন সেই তপসিয়া এলাকার কাজ কতদূর পর্যায়ে, সেটা সরাসরি তিনি নির্বাচন কমিশনকেই জানাবেন বলে জানিয়ে দিলেন সি মুরুগান। মঙ্গলবার তপসিয়া, তার আগে কাকদ্বীপেও বিশেষ পরিদর্শনে যান সি মুরুগান। বিশেষ পর্যবেক্ষক সি মুরুগান ২০০৭ সালের আএএস ব্যাচের। এই অফিসারের সঙ্গে শাসকদলের দূরত্ব দীর্ঘদিনের। প্রথমে দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক হিসাবে কাজ যোগ দেন। একেবারে জুনিয়র লেভেলের অফিসার ছিলেন তিনি। পরে পদোন্নতি হওয়ার পর পরিবহন দফতরের দায়িত্ব পান। সেই সময়েই নাকি সংঘাতের শুরু। শোনা যায়, বেলতলায় পরিবহন দফতরের যে অফিস রয়েছে, সেখানে নানারকমের দালালরাজ চলত। তিনি এই দালালরাজ বন্ধ করতে সক্রিয় হন মুরুগান।
