
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার জামিন পেলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও। সিবিআই-এর করা মামলায় বুধবার তাঁকে জামিন দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। তার আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহাও। এবার জেলমুক্তি হতে চলেছে কল্যাণময়ের।
২০১৬ সালের এসএসসি-র নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে, তাতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ছিল বলে সিবিআই অভিযোগ করে। সে সময়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন কল্যাণময়। ২০১২ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির প্রশাসক হন তিনি। ২০২২ সালের ২২জুন ওই পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হয়। তারপরই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এদিকে, ইডিও কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলাও দায়ের করে।
এসবের বিরুদ্ধে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ ওঠে, তিনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ জবরদখল করে রেখেছিলেন। প্রথমে ওই পদে থাকার বয়ঃসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। তার পর ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৮ করা হয়। অভিযোগ, কল্যাণময়ের ৬৮ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও একই বেতনে ওই পদে বহাল ছিলেন।
২০১৬ সালের এই প্যানেল, যা নিয়ে এত বিতর্ক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এক লহমায় চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী, সেই দুর্নীতিতেই নাম জড়িয়েছিল কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তার পরীক্ষা হয়েছে, একাদশ দ্বাদশের ফলও বেরিয়েছে। কিন্তু তাতেও এখন ভেরিফিকেশনের কল পাননি যোগ্য চাকরিহারাদের অধিকাংশ। তাঁরা আজও রাজপথে। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেয়েছেন, এবার কল্যাণময়!
কল্যাণময় কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। বুধবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সেই আবেদন মঞ্জুর করেন।