
কলকাতা: কথায় আছে গল্পের গরু গাছে ওঠে। আর এখানে দুর্নীতির কেরামতিতে শূন্যও হয়ে যায় ৫৩। আর সেই ওএমআরের জালিয়াতিতেই হয়ে ওঠা যায় অঙ্কের শিক্ষক। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগে এমনই দুর্নীতি হয়েছে। আজ, শনিবার চিহ্নিত অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে পারে এসএসসি। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ, একজন দাগি অযোগ্যও যেন পুনরায় এসএসসি পরীক্ষায় না বসতে পারেন। ‘দাগি’দের তালিকা প্রকাশের আগেই টিভি৯ বাংলার হাতে এল চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। কীভাবে ওএমআর শিটে জালিয়াতি করা হয়েছিল, তা ধরা পড়ল ক্যামেরায়।
এসএসসি ইতিমধ্যেই তালিকা তৈরি করে ফেলেছে যে কতজন যোগ্য, কতজন অযোগ্য। সেই তালিকা হাই কোর্টে ও সুপ্রিম কোর্টে পেশও করা হয়েছে। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে মোট ‘দাগি’র সংখ্যা ১৮০৩। এরা সকলেই ওএমআর শিটে জালিয়াতি করেছেন বা র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন।
এসএসসি-র তালিকা প্রকাশের আগেই টিভি৯ বাংলার হাতে যে তালিকা এসেছে, তাতে সেই সমস্ত শিক্ষকদের নাম রয়েছে যারা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন। এরকমই একজনের উদাহরণ হল, এক শিক্ষক। তাঁর বিষয় হল অঙ্ক। অর্থাৎ তিনি অঙ্কের শিক্ষক। এসএসসি-র প্রকাশিত ওএমআর শিটে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৫৩। আর আসলে তিনি পেয়েছেন শূন্য! সিবিআইয়ের কাছে জমা দেওয়া নথিতে সে কথাই উল্লেখ রয়েছে।
আরেকজন ইতিহাসের শিক্ষক। তিনি সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন, পেয়েছিলেন শূন্য। কিন্তু ওএমআর শিটে দেখা যাচ্ছে তার প্রাপ্ত নম্বর হয়ে গিয়েছে ৫৩!
এরকম একাধিক উদাহরণ রয়েছে। এরা সকলেই দাগি প্রার্থী। আজ এদের নামের তালিকা প্রকাশ করবে এসএসসি। এদের সকলের চাকরি গিয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবধি তারা চাকরি করতে পারবেন। এসএসসির যে পরীক্ষা হবে আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর, সেই পরীক্ষাতেও তারা বসতে পারবেন না।