কলকাতা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল হয়েছে। একধাক্কায় চাকরি বাতিল হয়েছে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। এর মধ্যেই এসএসসি-র চাকরির আরও দুর্নীতি প্রকাশ্যে। সূত্রের খবর, অষ্টম দফার কাউন্সিলিং সম্পূর্ণটাই হয়েছিল প্যানেলের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পর। রাতের অন্ধাকারে মোবাইলে গিয়েছিল নিয়োগের এসএমএস বলে অভিযোগ। কীভাবে অষ্টম দফার কাউন্সিলিং সম্পূর্ণ হয়েছিল এ নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
গতকালের রায়ের পর বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চকে শুনানিতেই বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বাধ্য হচ্ছি।’ অর্থাৎ কোনও ভাবেই প্যানেলকে বাঁচানোর জায়গায় তাঁরা ছিলেন না। সূত্রের খবর, গ্রুপ-ডি-তে ৩ হাজার ৮৮০ জনকে সুপারিশ করেছিল এসএসসি। তার মধ্যে ১৭৪১ জন বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ গ্রুপ ডি-র প্রায় ৪৫ শতাংশ চাকরিতেই দুর্নীতি হয়েছে। গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৩৮.৫ শতাংশ। আবার একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ১৪.৪৭ শতাংশ চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে খবর। সূত্র বলছে, নবম দশমের ৮.৫ শতাংশ চাকরিতে দুর্নীতি হয়েছে। ফলত, দুধ আর জল আলাদা করতে না পেরেই পুরো প্যানেল বাতিল করতে হয়েছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
প্রসঙ্গত, এর আগের শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ বারবার রাজ্য সরকার ও এসএসসি-কে জিজ্ঞাসা করেছিল কারা প্রকৃত চাকরিপ্রাপক, তার হিসাবটা দিতে। তবে এই হিসাব আদালতে জমা দিতে পারেনি রাজ্য সরকার। দেখা যায়, যত রেকমেনডেশন এসএসসি দিয়েছিল, তার থেকে বেশি সংখ্যক ব্যক্তি চাকরি করছেন। অর্থাৎ সুপার নিউমেরিক পোস্টেও প্রচুর বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে। সেই কারণেই ২০১৬-র গোটা প্যানেল বাতিল করতে ‘বাধ্য হচ্ছি’ বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ।