Tapas Mondal: ‘অফিস থেকে বোর্ডে টাকা যেত’, মানিককে ‘ফাঁসিয়ে’ এবার তাপসের নিশানায় প্রাথমিক বোর্ড

Tapas Mondal: বুধবার প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। অফলাইনে ভর্তির যে তালিকা তিনি জমা দিয়েছে, সেই তালিকার সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকার হিসেব মিলছে না।

Tapas Mondal: অফিস থেকে বোর্ডে টাকা যেত, মানিককে ফাঁসিয়ে এবার তাপসের নিশানায় প্রাথমিক বোর্ড
ইডি অফিসে তাপস মণ্ডল

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 03, 2022 | 5:25 PM

কলকাতা: ডিএলএডএ অফলাইনে পড়ুয়া পিছু পাঁচ হাজার টাকা উসুল। বুধবার মানিক ভট্টাচার্যকে ফাঁসিয়ে বৃহস্পতিবার তাপস মণ্ডলের নিশানায় বোর্ড। অফিস থেকেই ঘুষের টাকা প্রাথমিক পর্ষদে পৌঁছত, ইডি হাজিরায় ফের বিস্ফোরক মিডলম্যান। বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে ঢোকার সময়ে তিনি বলেন, “আমাকে কালকেই আরও ১-২ ঘণ্টা থাকতে বলেছিল, কিন্তু যেহেতু আমি সুগারের রোগী, আমি বলেছিলাম আবার আসব। আমি নিজেই টাইম নিয়েছি। হিসাব তো কাল যা দেওয়ার দিয়েছি।” এদিন তাপসকে প্রশ্ন করা হয়, এই ২১ কোটি টাকা কি মানিক ভট্টাচার্যই নিতেন? তাপস বলেন, “না না এটা আমাদের অফলাইনের যে লেট ফাইন, সেটা বলে দিয়েছিলাম। এটা মানিকই বলতে পারবেন কী হয়েছে না হয়েছে। সেই পরিমাণটা ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা হতে পারে। এটা সরাসরি বোর্ডেই যেত। কারণ আমার অফিস থেকে বোর্ডেই ডিসপ্যাচ হত টাকাটা। ইলিগ্যাল ফিজ নয়। ৩০০ টাকা অফলাইন ফিজ়, তার সঙ্গে ৪৭০০ টাকা যোগ হয়েছে।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এটা তো বেআইনি? তাপস বলেন, “এটা আইনি করেছে বোর্ড। কারণ আমাদের এতগুলো কলেজের এত ছাত্রছাত্রী, এটার সমাধান তো হয়েছে। ” মানিককে বিঁধে তিনি বলেন, “পর্ষদের সভাপতি ওঁ, স্বাভাবিকভাবেই ওঁই তো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”তাপস আরও বলেন, “আমি চুক্তি করেছিলাম, এডুক্লাসেস অনলাইনের সঙ্গে। নিয়ম কি অনিয়ম হয়েছে, সেটা বোর্ড বলবে।”

বেলা বারোটার কিছুটা পর তিনি ইডি দফতরে পৌঁছন। সঙ্গে নিয়ে আসেন বেশ কিছু নথিপত্র। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের অভিযোগ, পিছনের দরজা দিয়ে পড়ুয়া ভর্তি করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন মানিক। এদিকে, মানিকের ডানহাত তাপস মণ্ডল। বুধবার প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। অফলাইনে ভর্তির যে তালিকা তিনি জমা দিয়েছে, সেই তালিকার সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকার হিসেব মিলছে না। সেই সমস্ত নথি নিয়ে আজ ফের ইডি-র মুখোমুখি হন তাপস।

সূত্রের খবর, অফলাইনে ভর্তি করতে ছাত্র পিছু ৫ হাজার টাকা করে নিতেন মানিক ভট্টাচার্য। কীভাবে দুর্নীতির জাল বুনেছিলেন মানিক?ইডি-র কাছে বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন তাপস মণ্ডল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ইডি-র দাবি, অনলাইনে ভর্তির নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। তার মধ্যে যাঁরা ভর্তি হতে পারতেন না, তাঁদের ভর্তির বন্দোবস্ত করতেন মানিক। সরকারি পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে পড়ুয়াদের অফলাইনে ভর্তি করা হত। ঘুরপথে পড়ুয়া ভর্তির সংখ্যাটা কলেজ পিছু ২০-২২ জন।

কার নির্দেশে টাকা নেওয়া হত ? পুরোটাই কি মানিকের নির্দেশ? সেই সব তথ্য তাপসের কাছ থেকে পেতে চান তদন্তকারীরা। বুধবার সকাল ১২টা থেকে রাত সাড়ে দশটা। সিজিও কমপ্লেক্স ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাপস মণ্ডলকে। অফলাইনে ভর্তির যে তালিকা তিনি জমা দিয়েছে, সেই তালিকার সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকার হিসেব মিলছে না বলেই খবর। বৃহস্পতিবার সেই সংক্রান্ত হিসাবের নথি জমা দিতে ফের মানিক ঘনিষ্ঠকে ডেকে পাঠায় এজেন্সি।