SSC Recruitment: আর্জি জানিয়েছিলেন ববিতা, আদালতের নির্দেশে ৫৭৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল SSC

SSC Recruitment: আদালতের নির্দেশে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। আবার অন্য একটি মামলায় আদালতের নির্দেশেই চাকরি চলে যায় সেই ববিতা সরকারের।

SSC Recruitment: আর্জি জানিয়েছিলেন ববিতা, আদালতের নির্দেশে ৫৭৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করল SSC
ববিতা আর্জি জানিয়েছিলেন হাইকোর্টে

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jul 21, 2023 | 7:50 AM

কলকাতা: প্রকাশ হল ২০১৬ সালের একাদশ ও দ্বাদশের নিয়োগের তালিকা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।  কোনও নিয়োগের পিছনে দুর্নীতি আছে কি না, তা জানতে ২০১৬ সালের একাদশ-দ্বাদশের মেধাতালিকা ও সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশ করার আর্জি জানিয়েছিলেন ববিতা সরকার। সিঙ্গল বেঞ্চ তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়ার পর ডিভিশন বেঞ্চও বহাল রাখে সেই নির্দেশ। সেইমতো তালিকা প্রকাশ করা হল। মোট ৫৭৫৭ জনের নাম ও তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা মেনে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনও। সিবিআই তদন্তের অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ওএমআর শিটের প্রাপ্ত নম্বর বদলে গিয়েছে কোনও অদৃশ্য যাদুবলে। ২০১৬-র এই নিয়োগের ক্ষেত্রে তেমন কোনও ঘটনা ঘটেছিল কি না, সেটাই জানতে চায় আদালত। এসএসসি-র তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ৫৭৫৭ জনের নাম ছাড়াও রয়েছে স্কুল, জেলা, বিষয়েরও উল্লেখ রয়েছে।

আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হওয়ার পর ববিতা সরকার হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, ওই বছর নিয়োগ হয়েছে, এমন কারও চাকরি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, সে ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ পেতে পারেন ববিতা। তাই মেধাতালিকা ও ওএমআর প্রকাশের আর্জি জানান। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শূন্যপদে চাকরির জন্যই এই আবেদন জানান তিনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই আর্জি মঞ্জুর করে তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এরপর সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, উত্তরপত্র প্রকাশে বাধা কোথায়? তবে কারও চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে, তাঁর বক্তব্য শুনতে হবে বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে। তারপরই এই তালিকা প্রকাশ হল।

প্রাক্তন মন্ত্রীর মেয়ের অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি বাতিল হওয়ায়, চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাঁর স্নাতকোত্তরের প্রাপ্ত নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল। ফলে বেড়ে গিয়েছিল অ্যাকাডেমিক স্কোরও। এরপরই আদালতের নির্দেশে চাকরি চলে যায় ববিতার।