কলকাতা: ২০১৬ পুরো প্যানেল বাতিল হওয়ার পর থেকেই একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কীভাবে বাছাই হবে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা। তারই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নথির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। এসসির সার্ভার থেকেই ‘অযোগ্যদের লিস্ট’ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তেমনটাই জানতে পারা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠছে, কাদের-কাদের নম্বর বাড়াতে হবে সেই তালিকা নায়সার পাশাপাশি আরও তিনজনকে মেল করেছিল এসএসসি। এর মধ্যে উঠে আসছে মুজাম্মিল হোসেনের নাম। কে এই মুজাম্মিল হোসেন? কী তাঁর পরিচয়? কেনই বা অযোগ্যদের তালিকে এই ব্যক্তিকে ইমেইল করেছিল এসএসসি?
মুজাম্মিল হোসেনের পরিচয়
বর্তমানে এসসিসি-র সার্ভার সিজ করেছে সিবিআই। এরপর তাদের নজরে আসে একাধিক ইমেল। প্রথম ইমেল করা হয় নায়েসাকে,ইমেল গিয়েছিল নায়সার কর্তা নিলাদ্রি দাস, নায়েসার প্রাক্তন কর্তা পঙ্কজ বনশল ও নায়েসার এক কর্মী মুজাম্মিল হোসেনকে।
সূত্রের খবর, নায়েসার অত্যন্ত প্রভাবশালী কর্মী মুজাম্মিল হোসেন। নায়সার হয়ে এসএসসি-র সঙ্গে অফিসিয়ালি যোগাযোগ রাখতেন এই ব্যক্তি। বলাই চলে, এসএসসি-র কর্তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। জানা যাচ্ছে, ব্যক্তিগত স্তরেও মুজাম্মেলের সঙ্গে কথা হত তৎকালীন শিক্ষাকর্তাদের।
তবে ওয়াকিবহাল মহল বলেছে, এই তালিকা থেকেই বোঝা যেতে পারে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন কারা। ফলত, সেই তালিকা সামনে এলে যোগ্যদের ভাগ্য ফিরতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, “আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য ছিল সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত দুর্নীতি। সরকার পরিকল্পনা করে এটা করেছে। কেউ একজন হঠাৎ করে টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি। তদন্ত যত এগোবে আরও তথ্য প্রকাশিত হবে। তাই তদন্ত আটকাতে সব চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত আটকায়নি। আরও অনেক তথ্য বেরবে। আর যাদের নাম উঠে আসছে এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে দেখবেন আরও অনেক মন্ত্রীদের নাম বেরিয়ে আসেছে।”