কলকাতা: সপ্তাহের মাঝে মহানগরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ আগুন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দামী মেশিন। একাধিক রোগীর রিপোর্টও পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা। ২০১৬, ২০১৮-র পর আবার ২০২২। কেন বারবার অগ্নিকাণ্ড হাসপাতালে? কোথায় গাফিলতি? ২০১৬, ২০১৮-র পর ফের ২০২২। ফের আগুনের গ্রাসে এসএসকেএম হাসপাতাল। জরুরি বিভাগের দোতলায় ঘরে আগুন। শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ড বলে প্রাথমিক অনুমান। সেই ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত থাকায়, তা ফেটে আগুন আরও বাড়তে থাকে।
তড়িঘড়ি সেখান থেকে সরানো হয় রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। এদিকে জরুরি বিভাগ চত্বরে থাকা রোগীর পরিজনদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন, আদৌ পরিষেবা পাবেন তো? রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে চিকিত্সা পেতে সরকারি হাসপাতালে ছুটে আসেন রোগী ও তাঁর পরিজনেরা। ঠাঁই সেই হাসপাতাল চত্বরেই।
বৃহস্পতিবার আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৮টি ইঞ্জিন। আগেভাগেই সেখানে ছিল দমকলের ২টি ইঞ্জিন। নিরন্তর চেষ্টায় মোটামোটি ৩ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকলকর্মীরা।
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কোথায় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা? আগেও এসএসকেএম-এ আগুন, তাও কেন গাফিলতির ছবি? হাসপাতালে কি নিয়মিত ফায়ার অডিট হত?
হাসপাতালের কর্মীদের কী আগুন নেভানোর প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ছিল? সে সব প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে আরও বেশ কিছু। আগুনে রোগীদের রিপোর্ট পুড়েছে অনেকই। সেগুলিকে উদ্ধারের কোনও ব্যবস্থা রয়েছে কিনা, সেটাও ভাবার বিষয়। পুড়েছে দামী মেশিনও। তাহলে পরিষেবা মিলবে কীভাবে?
আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও শুক্রবার অনিশ্চিত পরিষেবা। কোথায় যাবেন রোগীরা? যে কোনও জরুরি অবস্থায় জন্য আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য সচিবের। কোথাও না কোথাও পরিষেবা পাবেন, আশা রোগীর পরিজনদের। এদিকে, আগুন লাগার ঘটনায় ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।