কলকাতা : নাম বদলে দেওয়ার কথা আগেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেন্ট্রাল পার্কের মাঠ হস্তান্তর করা হল। পাবলিসার্স আ্যন্ড বুক সেলার্স গিল্ডের হাতে শুক্রবার সংশ্লিষ্ট সমস্ত নথি তুলে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এবার থেকে এই মাঠের নাম হবে বইমেলা প্রাঙ্গণ। আর এবার পাকাপাকিভাবে মাঠ হস্তান্তর করা হল। শুক্রবার উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে এবং সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য। তাঁদের হাতেই নথি তুলে দেন চন্দ্রিমা।
এ দিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘গত ২৮ ফেব্রুয়ারি যখন বইমেলার উদ্বোধন হয়, সে দিন ত্রিদিব বাবু এবং সুধাংশুবাবু অনুরোধ করেছিলেন যাতে এই সেন্ট্রাল পার্কের মাঠকে বইমেলার প্রাঙ্গণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী সে দিনই তা মেনে নিয়েছিলেন এবং আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো আমি নোটিকেশন জারি করি। আজ কাগজপত্র তুলে দিলাম।’ তিনি উল্লেখ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু নিজে একজন কবি, তাই এই অনুরোধ শুনেই এই সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
গিল্ডের সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। এবার থেকে ওই মাঠের অধিকার থাকবে গিল্ডের হাতে। তাই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গিল্ড। এই মাঠেই যাতে বরাবর বইমেলা হয়, সেটা অনেকেই চাইছিলেন। আর সে কথাই মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল গিল্ডের তরফে। এরপরই মমতা ওই মাঠের নাম বইমেলা প্রাঙ্গণ হিসেবে ঘোষণা করে দেন।
প্রথমে ময়দান, পরে মিলন মেলা প্রাঙ্গণ ও তারও পরে সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলা হয়। আয়োজকরা চাইছিলেন না যে ভবিষ্যতে আর বইমেলার স্থান বদল হোক। সেই কারণেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, যাতে এই সেন্ট্রাল পার্কেই বরাবর বইমেলার আয়োজন করা যায়। সেই অনুরোধই রেখেছেন মমতা। মেলার উদ্বোধনে এসে তিনি সেন্ট্রাল পার্কের নাম পরিবর্তন করে বইমেলা প্রাঙ্গণ করে দেন। মমতা বলেছিলেন, ‘আপনাদের যখন এই প্রাঙ্গণ পছন্দ, তখন এখানেই বইমেলা হবে। এখানকার নাম এবার থেকে বইমেলা প্রাঙ্গণই হোক। এখানে সব মেলাই করা যাবে। কিন্তু, বইমেলার জন্য উৎসর্গ করা হবে এই প্রাঙ্গণ।’