কলকাতা: আজ বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণে বাজেট অধিবেশনের শুরু। তিন বছর পর রাজ্যপালের ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে টেলিভিশনে। সরকারি ভাষ্য হুবহু পাঠের আশ্বাসেই কি সিদ্ধান্ত? জোরাল জল্পনা বিরোধী শিবিরে। এর আগে
রেড রোডে দুর্গা কার্নিভাল দেখতে গিয়ে ধনখড় অভিযোগ তুলেছিলেন সরকার তাঁকে থামের আড়ালে বসতে দিয়ে ব্ল্যাকআউট করেছে। তিন বছরে ৪ টি বাজেট অধিবেশনে তৎকালীন রাজ্যপাল। কিন্তু তাঁর একটি ভাষণও সম্প্রচার করা হয়নি। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল ধনখড়ের। এবার বোসের বার্তার দিকে নজর বঙ্গ বিজেপির।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবারই বলেছিলেন, “রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের একটা সুসম্পর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। বিধানসভা ও রাজ্যপাল কোনও সংঘাতপূর্ণ পোস্ট নয়। সুসম্পর্ক বজায় রেখে চললে সামগ্রীকভাবে কাজ করতেও সুবিধা হবে। তাতে রাজ্যপালও শান্তিতে থাকতে পারেন। রাজ্য সরকারও নিজের কাজকর্ম করতে পারে। যিনি রাজ্যপাল এসেছেন, তাঁর দৃষ্টিভঙ্গী অত্যন্ত স্বচ্ছ। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করেই তিনি চলতে চান।” মুখ্যমন্ত্রী আগেই রাজ্যপাল প্রসঙ্গে বলেছেন, “তিনি একজন অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি। তিনি প্রকৃত ভদ্রলোক।” মাত্র দু’মাস রাজ্যে এসেছেন রাজ্যপাল। এই দুমাসে রাজ্যপালের তরফেও রাজ্য সরকারের উদ্দেশে সংঘাতের কোও বার্তা আসেনি।
এইরকমেই একটি আবহে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বাজেট অধিবেশনের সূচনা করতে চলেছেন। রাজ্যপালের ভাষণ সম্প্রচার করাই রীতি। কিন্তু ধনখড় জমানায় তা থমকে যায়। রেড রোডে তাঁকে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন ধনখড়। তারপর থেকেই রাজ্য-রাজ্যপালের সম্পর্ক রীতিমতো আদায় কাঁচকলায় হয়ে যায়। দফায় দফায় সংঘাত হয়েছে, তা সম্পর্কে অবগত বঙ্গবাসী।
বিধানসভায় গেটে মোতায়েন রয়েছেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে অধিবেশন। এদিন রাজ্যপালের বক্তৃতার দিকে নজর থাকবে বিরোধীদেরও।