West Bengal Medical Council : পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনের জন্য অ্যাড হক কমিটি গঠন, নেই নির্মল মাজি
West Bengal Medical Council : গত ২৯ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ২০১৮ সালের পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনকে অবৈধ বলে জানিয়ে দেন। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনের জন্য অ্যাড হক কমিটি গঠন করতে হবে।
কলকাতা : নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মতো পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল (West Bengal Medical Council) অস্থায়ীভাবে পরিচালনার জন্য অ্যাড হক কমিটি গঠন করল রাজ্য সরকার। এই কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন কাউন্সিলের নির্বাচন হবে। অ্যাড হক কমিটিতে সভাপতি-সহ আটজন রয়েছেন। সেখানে নাম নেই চিকিৎসক তথা তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির। তবে তৃণমূলেরই শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়কে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। অ্যাড হক কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালী, চিকিৎসক দীপাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, চিকিৎসক তাপস ঘোষ, চিকিৎসক সুমন মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক দীপাঞ্জন হালদার, চিকিৎসক অভীক দে এবং ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন।
২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছিল। গত ২৯ জুন হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ২০১৮ সালের ওই নির্বাচনকে অবৈধ বলে জানিয়ে দেন। এরইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচনের জন্য অ্যাড হক কমিটি গঠন করতে হবে।
হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, অ্যাড হোক কমিটি ১ অগস্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের দায়িত্ব নেবে। আর অক্টোবরের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। নভেম্বরে দায়িত্ব নেবে কাউন্সিলের নতুন কমিটি। নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল পরিচালনা করবে অ্যাড হক কমিটি। তবে তারা শুধুমাত্র আর্থিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল সংক্রান্ত কিংবা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে না।
অনেকেই ভেবেছিলেন, অ্যাড হক কমিটিতেও ঠাঁই পাবেন চিকিৎসক-বিধায়ক নির্মল মাজি। তিনিই কমিটির প্রধান হবেন। তবে আজ রাজ্যের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারির পর দেখা যায়, কমিটিতেই নেই নির্মল মাজি। তাঁর জায়গায় রয়েছেন আরেক তৃণমূল বিধায়ক-চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়। প্রসঙ্গত, মাস দুয়েক আগে কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপার্সন পদ থেকে নির্মল মাজিকে সরিয়ে সুদীপ্ত রায়কেই বসানো হয়। নির্মল মাজি কেন কমিটিতে জায়গা পেলেন না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, নির্মল মাজিকে নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক বেধেছে। তাই, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে এই অস্বস্তির মধ্যে নতুন কোনও বিড়ম্বনায় পড়তে চাইছে না রাজ্য।