কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নিল রাজ্য। বৃহস্পতিবার হনুমান জয়ন্তী। আর এই দিন রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজ্যের তিনটি জায়গাতে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। হাওড়া, চন্দননগর, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকাতে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে যে আদালতের নির্দেশ মেনে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হবে। বুধবার রাতে চুঁচুড়া, কামারহাটিতে রুটমার্চ করছে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ইতিমধ্যেই নজর রাখছে রাজ্য পুলিশও।
কলকাতা শহরে পাঁচ থেকে ছ’টি হনুমান জয়ন্তীর মিছিল হবে। দুটি শোভাযাত্রা হাওড়ার দিক থেকে এসে বড় বাজার ও পোস্তায় শেষ হবে। এর মধ্যে একটি শোভাযাত্রা ভূতনাথ মন্দির থেকে বেরবে। একটি শোভাযাত্রা বেরবে পোর্ট এলাকা থেকে। প্রতিটি শোভাযাত্রায় থাকবেন এসি পদমর্যাদার অফিসাররা। বন্দর এলাকার শোভাযাত্রায় থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা। অতিরিক্ত প্রায় ১ হাজার ফোর্স থাকবে রাস্তায়। গতকাল রাত থেকে টহল দিয়েছে আধা সামরিক বাহিনী। মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতেই চলছে টহল।
এ দিন, সকালেই হুগলির মগরাতে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। হুগলি জেলার সব থেকে বড় হনুমান জয়ন্তী হয় বাঁশবেড়িয়া কলবাজার অঞ্চলে। ইতিমধ্যে পুজো-অর্চনা শুরু হয়েছে। এক এলাকাবাসী বলেন, “হুগলি জেলার প্রশাসনের তরফে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা মেনে শোভা যাত্রা বের করব। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা র্যালি চলবে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার ফলে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে। পরশু দিন থেকে পুলিশ এই এলাকায় রুট মার্চ করেছেন। সেটা আমরা দেখেছি। আমরাও ছিলাম।”
অপরদিকে, হাওড়ারও বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা বের করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হাওড়ার গুলমোহর থেকে রামসীতা মন্দির পর্যন্ত যাওয়া শোভাযাত্রা। এই শোভা যাত্রায় অংশ নিতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্বাভাবিকভাবেই এই এলাকায় প্রশাসনের অতিরিক্ত নজরদারী থাকবেই। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে র্যাফ। নজর রয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশেরও।