কলকাতা: আরও বিপাকে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআই-এর। তদন্তকারীদের দাবি নম্বরে গড়মিল করে নিজের ভাগ্নেকেও চাকরি করিয়ে দিয়েছেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য। আজই নিজাম প্যালেসে তলব। কীভাবে চাকরি পেয়েছেন, জানতে তলব সুবীরেশের ভাগ্নেকেও।
সিবিআই আগেই অভিযোগ করেছে, সুবীরেশ ভট্টাচার্য প্রভাব খাটিয়ে নম্বর বাড়িতে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। সেই তথ্যও তাঁদের হাতে এসেছিল। সেই সূত্রে তাঁর ভাগ্নেকেও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার তথ্য সিবিআই-এর হাতে আছে। সুবীরেশ এই মুহূর্তে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, ওএমআর শিটে-র প্রাপ্ত নম্বর, যেটা সার্ভারে আপলোড করা হয়েছিল, সেখানেই গরমিল করা হত। আর সিবিআই-এর দাবি, তারই মাস্টারমাইন্ড ছিলেন সুবীরেশ। সার্ভারে যিনি প্রোগ্রামিং অফিসার ছিলেন, তাঁকে দিয়ে নম্বর বদলে সমস্ত অযোগ্য প্রার্থীদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হত। টাকার বিনিময়ে সার্ভারে গিয়ে নম্বর বাড়ানো হচ্ছিল। ওএমআর শিটে যে নম্বর ছিল, তার থেকে সার্ভারের নম্বর আরও অনেক বেশি ছিল, যা দেখে নিয়োগ করা হত। এই তথ্য সিবিআই-এর হাতে এসেছে। সেই বিষয়টি স্পষ্ট করতেই সুবীরেশ ও তাঁর ভাগ্নেকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই বলছে, এইভাবেই ঠিক একই কায়দায় নম্বর বাড়িয়ে চাকরিতে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল ভাগ্নেকেও। বিষয়টি তাঁর কাছ থেকে ভালভাবে জানতে চান তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যের অধীনে কাজ করা ৪ কর্মী ও প্রাক্তন দুই চেয়ারম্যানকে তলব করল সিবিআই। এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল ও প্রদীপ শূরকে তলব করা হয়েছে আগেই। যে ওই চার কর্মীকে গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করা হয়েছিল। চার কর্মী সুবীরেশের নির্দেশ মেনে কাজ করতেন বলে সূত্রের খবর। তাঁদের থেকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে।