
কলকাতা: দিলীপ ঘোষের দিঘার জগন্নাথ মন্দির যাওয়ার পিছনে পরিবর্তনের গন্ধ পাচ্ছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজন বললেন, “অনুষ্ঠানে গিয়েছেন, তাঁর মনে হয়েছে তাই গিয়েছেন। কেন উনি গেলেন, ওনার কী পরিবর্তন হল, তার পিছনের কারণ নিয়ে ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না। এটুকু বুঝতে পারি, একটা সমাপতন থাকে তো, জগন্নাথ মন্দিরে জায়গা পছন্দ করে কাজ শুরুর সময়ে মমতার সঙ্গী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শেষ যখন হচ্ছে, শুভেন্দু নেই। তার বকলম হিসাবে কাউকে থাকতে হয়! অর্থাৎ মমতার সঙ্গে দিলীপ ঘোষ।”
দিঘার জগন্নাথ মন্দির দর্শন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকে ঘিরে বিজেপি অন্দরে কার্যত আগুন জ্বলছে এখন! দিলীপের বিরুদ্ধে বিষোদগার দলেরই একের পর এক বিজেপি নেতার, মুখ খুলেছে সিপিএমও। দিঘা থেকেই পাল্টা এসবের জবাব দিয়েছেন দিলীপ।
দিলীপ বললেন, “কেউ কেউ জিজ্ঞাসা করেছেন। আমাকে পার্টি থেকে অফিসিয়ালি মানাও করেনি। স্বাগতও করেনি।” জবাব দিতে গিয়ে সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ টেনে আনলেন দিলীপ। তিনি বললেন, “যাঁরা স্বাভিমানী স্বতন্দ্র রাজনীতি করেন, তাঁদের দেখেই দল চলে। সুভাষ চক্রবর্তী বামফ্রন্টকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, তিনি লক্ষ লক্ষ লোক নিয়ে আসতেন, নেতারা ব্রিগেডে ভাষণ দিতেন। কারোর লোক আনার ক্ষমতা ছিল না। হিংসা থাকবেই পার্টিতে।” রাজনীতি ও সংগঠন নিয়ে বুদ্ধ-সুভাষ ‘লড়াই’ সিপিএমের ভিতরে ও বাইরের চর্চাও শিরোনামে ছিল বহু দিন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, এবার নিজেকে ‘মাটির নেতা’, নিজের জনসংযোগ ক্ষমতা প্রকাশে সেই সুভাষক-প্রসঙ্গই টেনে আনলেন দিলীপ।
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিলীপের সাক্ষাৎ নিয়ে অনেকেই দিলীপের তৃণমূল যোগ খুঁজে পাচ্ছেন বিজেপি নেতাদেরই অনেকে। সে প্রসঙ্গে দিলীপ বললেন, “কারোর সঙ্গে কথা বললেই যদি পার্টি থেকে চলে যাওয়া হয়, ওই নীতিকে রাজনীতিকভাবে ঘৃণা করি।”