Recruitment Scam: ‘আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে, আমার কাছে ক্লিপিং আছে’, TV9 বাংলায় বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’

Sujay Bhadra Exclusive: সুজয় ভদ্রর দাবি, গোপাল দলপতিকে বলা হচ্ছে তাঁর নাম বলার জন্য। বললেন,'আমার কাছে ক্লিপিং আছে। তাঁকে কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, সুজয় ভদ্রর নাম বলুন। আমার নাম আনার জন্য এসব করা হচ্ছে।'

Recruitment Scam: আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে, আমার কাছে ক্লিপিং আছে, TV9 বাংলায় বিস্ফোরক কালীঘাটের কাকু
সুজয় ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'

| Edited By: Soumya Saha

Mar 16, 2023 | 6:07 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে সব দিক খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই সূত্র ধরে বুধবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুজয় ভদ্র (Sujay Bhadra) ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’কে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতেই মেজাজ হারাতে দেখা যায় সুজয় ভদ্রকে। সংবাদমাধ্যমে এর আগে যতবার তিনি ধরা দিয়েছেন, সদাহাস্য মুখেই কথা বলেছেন। তাহলে হঠাৎ কেন গতকাল মেজাজ হারালেন? কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের প্রশ্নবাণের মুখে কি চাপের মধ্যে রয়েছেন তিনি? এমন বিভিন্ন প্রশ্ন ঘিরে গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। এবার টিভি নাইন বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’। সুজয় ভদ্রর দাবি, গোপাল দলপতিকে বলা হচ্ছে তাঁর নাম বলার জন্য। বললেন,’আমার কাছে ক্লিপিং আছে। তাঁকে কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, সুজয় ভদ্রর নাম বলুন। আমার নাম আনার জন্য এসব করা হচ্ছে।’

সুজয় ভদ্র বলছেন, অন্য কোনও কারণ নয়, সংবাদমাধ্যমের ভিড় দেখেই মেজাজ হারিয়েছিলেন তিনি। সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়েও কোনওরকমের চাপের মধ্যে নেই তিনি, সেই কথাও জানিয়ে দিলেন। প্রশ্ন করলেন, ‘আপনার কি আমায় দেখে মনে হচ্ছে আমি চাপে আছি?’ তারপর নিজেই হাঃ হাঃ করে হেসে ফেললেন। বললেন, ‘একদমই চাপে নেই। কেন চাপে থাকব?’

সুজয় ভদ্রর স্পষ্ট কথা, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এই বিষয়ে তাঁর কাছে যথেষ্ট প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি ‘কালীঘাটের কাকু’র। বললেন, ‘আমার সঙ্গে এসবের কোনও যোগ নেই। কোনওভাবে আমার নাম ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমি কখনও শুনিনি কুন্তল আমার নাম বলেছে। তাপস মণ্ডল, গোপাল দলপতিরা বলছেন তাঁরা শুনেছেন কুন্তল বলেছে।’

কালীঘাটের কাকুর দাবি, খড়ের গাদায় সূঁচ খুঁজতে হচ্ছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা সব দিকগুলিই খতিয়ে দেখছে। তাঁর দাবি, কুন্তল-শান্তনুকেও তিনি চেনেন কেবল রাজনৈতিকভাবে। মিটিং-মিছিলে দেখা হয়েছে কখনও কখনও। এর বেশি কিছু নয় বলেই দাবি সুজয় ভদ্রর।