
কলকাতা: ফের বাড়ল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ। আগামী ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হল সময়। বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের একক বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। বেহালার বাড়ির বদলে পিএমএলএ আদালতের মধ্যে থাকার নির্দেশ দেওয়ার আর্জি সুজয় কৃষ্ণের।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। প্রথমে ইডি ও পরে সিবিআই গ্রেফতার করে তাঁকে। এরপর একাধিকবার হাসপাতাল আর জেল করে কাটাতে হয় তাঁকে। পরে সুজয়ের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিন পান তিনি। তবে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছিল কোর্ট। সেই সময় বলা হয়েছিল, চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও কারণে বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন না তিনি।
আদালতে সুজয়কৃষ্ণের আর্জি, বেহালার বাড়ির বদলে পিএমএলএ আদালতের মধ্যে থাকার নির্দেশ দেওয়ার আর্জি সুজয়কৃষ্ণের। শুনানির সময় বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের আর্জি, বাড়ির বাইরে মুক্ত বাতাস চাইছেন।
আদালতে ‘কালীঘাটের কাকুর’ আইনজীবী মিলন মুখোপাধ্যায় বলেন,”অন্তর্বতী জামিনের পর পাঁচ মাস একবারও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। বেহালার বাড়ির বদলে ট্রায়াল কোর্ট জুরিস ডিকশন পর্যন্ত বাড়ানো হোক। শর্ত শিথিল করার আবেদন করছি।” সিবিআই আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী এই আবেদনের বিরোধিতা করেন। বলেন, “উনি তো বলছেন উনি সুস্থ।” তখন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের মন্তব্য, “উনি ফ্রেশ বাতাস চান। আপনি তো জেলে নেই।” সুজয়ের আইনজীবীর আবেদন, “অন্তত আত্মীয়দের আসতে দেওয়া হোক।”এরপরই বিচারপতির মন্তব্য, আত্মীয় যে কেউ হতে পারেন। আপাতত শুধু বাড়ানো হবে অন্তর্বতী জামিনের মেয়াদ।
উল্লেখ্য, সুজয়কৃষ্ণ গ্রেফতার হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু হয়। স্ত্রীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আত্মীদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে বাড়িতে নয়,অনুষ্ঠান করতে চান বাড়ির বাইরে কোথাও। সেই আর্জি জানিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তবে তখনও কোর্ট তা মঞ্জুর করেনি।