ED Search in Recruitment Scam: ‘স্যান্ডো গেঞ্জি পরে ঘুরছিলাম, সেই সময় ED এল’, ভিতরে কী হল সবটা খুলে বললেন ‘কালীঘাটের কাকু’

Sujay Krisna Bhadra: সুজয়কৃষ্ণ জানালেন, ইডি আধিকারিকরা যখন ঢুকছিলেন তিনি তখন বাইরে ঘুরছিলেন। তদন্তকারী আধিকারিকদের দেখতে পেয়ে নিজেই তাঁদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বললেন, "ইডি যখন এসেছে আমি তখন স্যান্ডো গেঞ্জি পরে রাস্তায় ঘুরছিলাম।"

ED Search in Recruitment Scam: স্যান্ডো গেঞ্জি পরে ঘুরছিলাম, সেই সময় ED এল, ভিতরে কী হল সবটা খুলে বললেন কালীঘাটের কাকু
কালীঘাটের কাকু (নিজস্ব চিত্র)

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 21, 2023 | 2:32 PM

কলকাতা: শনিবার ছিল ঘটনাবহুল দিন। একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (CBI) দফতরে তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Abhishek Banerjee)। অন্যদিকে, ওই দিনই রাজ্যের দশ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। তার মধ্যে কালীঘাটের কাকুর বাড়িতেও তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। নিয়োগ মামলায় উঠে এসেছে এই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Suajy Krisna Bhadra) নাম। লাগাতার ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি করা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণের বাড়ি। ইডি আধিকারিকরা বেরতেই কী বললেন তিনি? এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন TV9 বাংলায়।

সুজয়কৃষ্ণ জানালেন, ইডি আধিকারিকরা যখন ঢুকছিলেন তিনি তখন বাইরে ঘুরছিলেন। তদন্তকারী আধিকারিকদের দেখতে পেয়ে নিজেই তাঁদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। বললেন, “ইডি যখন এসেছে আমি তখন স্যান্ডো গেঞ্জি পরে রাস্তায় ঘুরছিলাম। ওনাদের দেখে আমি ওদের সঙ্গে নিয়ে ঢুকি। এটাই আমি। সুজয় ভদ্র। ২০০ বার তদন্ত হোক। আমার কোনও অসুবিধা নেই।”

গতকাল তল্লাশি পর কালীঘাটের কাকুর একটি ফোন আর নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যান গোয়ন্দারা। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, “ওরা দেখল প্রচুর ওষুধ আছে। শাড়ি আছে। কম্বল রয়েছে। আর কিছু কাগজ যেমন বাড়ির দলিল, ট্যাক্সের বিল, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এই সব দেখল।” একই সঙ্গে বলেন, “১৫ ঘণ্টায় ১০ ভাগের ১ ভাগ তল্লাশি হয়েছে। বাড়ি যত কাগজ সব খুঁটিয়ে দেকতে সময় লেগেছে। ৬ বার জেরক্স হয়েছে। খাওয়া দওয়া করতে সময় লেগেছে।”

এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রশংসা করেন বলেন, “লোকে ইডি সম্পর্কে বাজে কথা বলেছে। আজকেও ভাল তদন্ত হয়েছে। আমার অভিযোগ নেই ওনাদের বিরুদ্ধে।” বারংবার ইডি-সিবিআই এর তল্লাশি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুজয়ের বক্তব্য, “ওনারা দেখছেন খড়ের গাদায় কোথাও যদি সূঁচ পাওয়া যায়। তাই খুঁজে দেখছেন…”।

প্রসঙ্গত, গোপাল দলপতির মুখে প্রথম শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা। তিনি দাবি করেছিলেন, কুন্তল ঘোষ নাকি টাকা পৌঁছে দিতেন ‘কালীঘাটের কাকু’র কাছে। পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন ‘কালীঘাটের কাকু’ আসলে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে তিনি আদতে কালীঘাটের বাসিন্দা নন, বেহালার বাসিন্দা। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ যে তাঁকে কাকু বলে সম্বোধন করতেন, সে কথা স্বীকার করেছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি।