
কলকাতা: মঙ্গলবার খিদিরপুরে গিয়ে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছেন, রাত ১টায় আগুন লাগে, কিন্তু দমকল কেন ভোর চারটেয় আসে? দমকল কেন দেরিতে পৌঁছয়, তা নিয়ে দূরভিসন্ধির অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা। বিধানসভায় দাঁড়িয়েই সে প্রশ্নের উত্তর দিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
বিধানসভা সুজিত জানান, রাত ২.০৫ মিনিটে নাগাদ প্রথম দমকল কন্ট্রোলে ফোন আসে। সঙ্গে সঙ্গেই দমকল গাড়ি পৌঁছয় খিদিরপুর মার্কেটে। ২০ টা ইঞ্জিন প্রাথমিকভাবে যায়। দমকল আধিকারিকরাও উপস্থিত হন। তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে যান বলে খবর। সুজিতের কথায়, “দমকলের গাড়ি দেরি করে পৌঁছেছে যাঁরা বলেছেন, এটা ঠিক নয়। আদি গঙ্গা থেকে জল এনে জল দেওয়া হয়েছে। সময়মতো পাম্প চলেনি বা দমকল কর্মীদের কাজ নিয়ে, যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, সেটা একেবারেই বেঠিক। জীবনকে বাজি রেখে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করেন।”
কটা দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে, কটা দোকান আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, গোটা বিষয়টির একটি রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে সেই রিপোর্ট তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়ে গিয়েছে বলেও জানান সুজিত বসু।
তিনি বলেন, “৭০০ জন ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে এসেছে। এখনও কাজ চলছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ক্ষতি পূরণের বিষয়টা জানিয়েছেন।”
প্রসঙ্গত, সিপিএম এই অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে ‘ম্যান মেড’ তত্ত্ব খাঁড়া করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় খিদিরপুর অরফ্যানগঞ্জ অগ্নিদগ্ধ বাজার পরিদর্শনে যান মহম্মদ সেলিম। সেখানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। জমি যাতে কোনওভাবে ‘জমি হাঙরদের’ দখলে না চলে যায়, তার জন্য সচেতন থাকতে বলেন। দমকলের দেরিতে আসা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এদিকে, মঙ্গলবার শুভেন্দু অধিকারীরও খানিকটা সে ইঙ্গিতই দিয়েছেন। খিদিরপুরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর বলা কথা, ‘আমি জমি রক্ষা আন্দোলনে ডক্টরেট’। শুভেন্দুর এই মন্তব্যে তা স্পষ্ট বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।