কলকাতা: এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার এজেন্সির অপব্যবহারের অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। এবার সেই একই বুলি দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর গলায়। মন্ত্রীর আপ্ত-সহায়ককে নাকি চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁর নাম বলে দেওয়ার জন্য। মন্ত্রীর দাবি, তাঁর আপ্ত-সহায়ক নিতাই দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এজেন্সি। কিছুই পায়নি তারপরও তাঁর নাম বলতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিস্ফোরক অভিযোগ মন্ত্রীর।
দমকল মন্ত্রী বলেন, “কোনও নেতা দোষ করলে তাঁকে গ্রেফতার অবশ্যই করুক। কিন্তু অনেকের দোষ না থাকা সত্ত্বেও তাঁদের গ্রেফতার শুধু করছে না, অসুস্থও করে দিচ্ছে।” এরপর তিনি অভিযোগ করে বলেন,”আমার আপ্ত-সহায়ক নিতাই দত্ত। তাঁর বাড়িতে ইডি-কে পাঠানো হল। ১২ ঘণ্টা জেরা করল। কিছুই পেল না। তারপর ওকে বলা হল সুজিত বোসের নাম বলে দাও তোমায় ছেড়ে দেব। এটা কোন ধরনের অত্যাচার।”
প্রসঙ্গত, নাম বলতে চাপ দেওয়ার অভিযোগ এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই করেছিলেন। এরপর সুজিত বসুও একই অভিযোগ করলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারনা, এজেন্সির অপব্যবহার হচ্ছে এই প্রচারকে তুঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। লোকসভা নির্বাচন যত এগোবে, এই প্রচার তৃণমূল তত সামনে নিয়ে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও, বিজেপির বক্তব্য, দোষীদেরই গ্রেফতার করছে তৃণমূল। সুজিতের মন্তব্য প্রসঙ্গে বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়ার অধিকার তৃণমূল হারিয়েছে। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোনও নেতার আর জনমণে কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। রাজ্য সরকারের প্রাথমিক তিনটি বিষয় থাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য। এরা গরিব মানুষের মুখের খাদ্য বিক্রি করে দিয়েছে।” অপরদিকে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের বক্তব্য, “ইডি লাল-নীল ডায়রি পাচ্ছে সেটা কোর্ট জানার আগে মিডিয়া জেনে যাচ্ছে। কীভাবে জানতে পারছে? ইডি-সিবিআই এর কাজ কী এটাই তদন্তের নামে প্রহসন করে একজনের সামাজিক সম্মানহানি করা?”