কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকার গরীবের জন্য ভাবে না, এমনটা বারবার দাবি করেছে তৃণমূল। শহিদ দিবসের মঞ্চে মুড়ি কিংবা প্রতীকী গ্যাস সিলিন্ডার দেখিয়ে সেই বার্তাই আরও স্পষ্ট করতে চেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার বক্তব্য শেষের পর বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বোঝালেন, আসলে গরীবের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই। যে ভাবে বিনামূল্য রেশন দেওয়া হয়েছে, বিনামূল্য টিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে সেটাই প্রমাণ হয় বলে মন্তব্য করেছেন সুকান্ত। মমতাকে পাল্টা আক্রমণ করতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘ঘরের ভিতর কী হয়, সেই খবর আমাদের কাছে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে কোথায় এসি লাগানো আছে, সেটাও আমরা জানি।’ বাংলার সরকারের অবস্থা খারাপ বলে দাবি করে সুকান্ত বলেন, বাংলার সরকার আপনা থেকেই শেষ হয়ে যাবে।
এ দিন সভামঞ্চ থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, তৃণমূল-সিপিএমের গোপন আঁতাত রয়েছে বলেই বাম আমলে হওয়া দুর্নীতির কোনও তদন্ত হয়নি। সুকান্ত বলেন, ‘১১ বছর ধরে সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে তৃণমূল।’
তৃণমূল নেত্রী এ দিন বার্তা দিয়েছেন, তৃণমূলের নামে কোনও চাঁদা তোলা হয়না। ২১-এর জন্য তৃণমূল কোনও চাঁদা তুলছে না বলে দাবি করেছেন তিনি। সুকান্তর পাল্টা তোপ, আদতে চাঁদা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিলেন নেত্রী নিজেই। বিজেপি সাংসদের দাবি, ২১ জুলাইয়ের সভার নামে অনেক তৃণমূল নেতা টাকা তুলে বড়লোক হয়ে যান। প্রত্যেক বছর এ ভাবে টাকা তোলা হয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মুড়িতে কেন্দ্রীয় সরকার জিএসটি বসিয়েছে। সে কথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ দিন উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের কাছ থেকে মুড়ি চেয়ে নেন তিনি। বিয়ের তত্ত্বের থালায় মঞ্চে সেই মুড়ি দেওয়া হয় মমতার হাতে। সেই ঘটনাকে নাটক বলে উল্লেখ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, নাটক করতে নিষেধ করুন। কী ভাবে বিয়ের তত্ত্বের থালায় মুড়ি এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত। পাশাপাশি, তিনি জানান, প্যাকেটজাত নয়, এমন মুড়িতে কোনও জিএসটি বসানো হচ্ছে না।