কলকাতা : মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান রয়েছে বিজেপির। তার আগে সোমবার টিভি নাইন বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নীল বাড়ি কাঁপানোর জন্য কতটা প্রস্তুত পদ্ম শিবির? খোলামেলা আলোচনায় সুকান্ত বাবু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে ছাড়লেন না। বললেন, “আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদান্যতায় এবং পুলিশের দৌলতে… যেভাবে পুলিশ আদা-জল খেয়ে কোমর বেঁধে নেমেছে, তাতে ইতিমঝ্য়েই দশের মধ্যে সাত-আট পেয়ে গিয়েছি। মাত্র দুই পয়েন্ট বাকি আছে, কাল পূরণ করে দেব।”
সেই সঙ্গে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “যে বগিতে ৭০-৮০ জন লোক চাপাচাপি করে বসতে পারেন, সেখানে আমাদের কর্মীরা কষ্ট করে ২০০ লোক উঠে আসছেন। আমরা ভাগ্যবান। আমাদের কর্মীরা দেবতুল্য কর্মী। এত অসুবিধার মধ্যে, নিজেরা খাবার বেঁধে নিয়ে যেভাবে কষ্ট করে তাঁরা আসছেন, তা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল হলে সম্ভব হত বলে আমার মনে হয় না।”
টিভি নাইন বাংলায় সুকান্ত মজুমদার জানান, “আমরা শুনতে পাচ্ছি, পুলিশ আগামিকাল আমাদের ঘরেই আটক করবে বা গৃহবন্দি করবে। বেরোতেই দেবে না, এমন শুনতে পাচ্ছি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এখন আমরা তৈরি আছি, চিন্তা নেই।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে বিজেপি রাজ্য স্তরে শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই মতের অমিলের কথা উঠে এসেছে। এমন পরিস্থিতি আগামিকাল নবান্ন অভিযানে নামছে পদ্ম শিবির। পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি নেই। এমন পরিস্থিতিতে সর্বশক্তি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে পথে নামছে বিজেপি। সেখানে কতটা সফল হবে বিজেপি? সুকান্ত মজুমদার অবশ্য বলছেন, “সংসারে মতবিরোধ হয়। মতবিরোধ কোনও বিষয়ই নয়। একটি ইস্যুকে আমি যেভাবে দেখব, অন্য কেউও সেই একইভাবে দেখবেন, এটা আমি আশা করতে পারি না। কিন্তু আমাদের আদর্শ এক, উদ্দেশ্য এক। সেই সোনার বাংলা তৈরির জন্য তিন জনের লক্ষ্যই এক।” তিনি আরও বলেন, “গতকালও আমরা তিনজন একসঙ্গে বসেছিলাম। আমি, দিলীপদা, শুভেন্দুদা… সঙ্গে অন্য নেতারাও ছিলেন। সব কথা আমরা সংবাদ মাধ্যমকে বলি না। আমরা একসঙ্গে বসেছি। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেছি।”
সুকান্ত মজুমদার এদিন টিভি নাইন বাংলায় জানান, “সুনীল বনসলের থাকার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সাধারণ সম্পাদকদের একটি বৈঠক ডেকেছে। আগামিকালই বৈঠক আছে। সেই কারণে তিনি দিল্লিতে থাকবেন। তিনি আগে এসে দেখে গিয়েছেন তিনটি স্পট। আমাদের রাজ্য় নেতৃত্বের সঙ্গে পরিকল্পনা করে গিয়েছেন, আমাদের দিশা দেখাচ্ছেন। অমিত মালব্যও দিশা দেখাচ্ছেন। সতীশ ধন্দও দেখছেন।”