কলকাতা ও বালুরঘাট: বিজেপির প্রাক পুজো সম্মেলনীতে অংশ নিতে কলকাতায় এসেছেন অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে একাধিক জায়গায় ঘুরে ঘুরে প্রাক পুজো সম্মেলনীতে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের পাড়ার পুজোর উদ্বোধনেও থাকার কথা মিঠুনের। কিন্তু তাঁর সেই বালুরঘাট সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। বিজেপির থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, মিঠুনের সার্কিট হাউসে থাকার জন্য অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এমনকী মিঠুন বালুরঘাটে পৌঁছনোর আগেই সেখানে বিজেপির পোস্টার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে, শনিবার রাতে শিয়ালদহে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এতে আমরা অভ্যস্ত। এটি নতুন কিছু নয়। মানুষ এর জবাব দেবে সঠিক সময়ে।”
সেই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, “মিঠুনদা শুধু কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা নন। তিনি বাংলার একজন অ্যাসেট। তিনি এতবড় সুপারস্টার হওয়ার পরেও একটি প্রান্তিক জেলাতে যাওয়ার জন্য ট্রেনে জার্নি করছেন, যা এখনকার দিনে কেউ ভাবতে পারেন না। এটি শুটিং নয়, সত্যিকারের জার্নি করছেন, এই বয়সেও কষ্ট করে করছেন… প্রান্তিক মানুষদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে। তার মধ্যে যে ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক।”
মিঠুনের জেলা সফরের আগে বালুরঘাটে ফ্লেক্স ছেঁড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বালুরঘাট থানায়। বালুরঘাট শহরের প্রবেশ দ্বারে ট্যাঙ্ক মোড় থেকে পাওয়ার হাউস পর্যন্ত রাস্তার মাঝের ডিভাইডারের পুরসভার ল্যাম্পপোস্টে লাগানো হয়েছিল মিঠুন চক্রবর্তী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ফ্লেক্স। জেলা বিজেপির তরফে এই ফ্লেক্স লাগানো হয়েছিল। অভিযোগ গতকাল থেকেই সেই ফ্লেক্স খুলে ফেলার সব রকম চেষ্টা করে পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসন। গতকাল বিষয়টি নজরে আসতেই বাধা দেয় বিজেপি৷ এরপর আজ সকালে দেখা যায় ওই এলাকার একাধিক ফ্লেক্স ছেঁড়া হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এই ধরনের কোনও নোংরা রাজনীতি করে না। বিশ্বাসও করে না। বিজেপি দক্ষিণ দিনাজপুরে ও বালুরঘাটে বিভিন্ন গোষ্ঠী রয়েছে। ফলে তাদের কুকর্ম অন্য রাজনীতিক দলের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।”