
নন্দীগ্রাম: আর বেশি দিন নেই। তারপরই রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। সেই নন্দীগ্রামেই কি প্রার্থী হতে চলছেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের দাবি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তাঁর বক্তব্য, এখান থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন অভিষেক। সেই কারণেই পছন্দের পুলিশ অফিসারদের নন্দীগ্রামেই বদলি করা হয়েছে। অপরদিকে, নন্দীগ্রামের বর্তমান বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী আবার বলেছেন, এখানে অভিষেক দাঁড়ালেও তাঁকে কেউ ভোট দেবে না।
সুকান্ত কী বলেছেন?
সাংবাদিকদের সামনে বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ বলেন, “আমার কাছে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবার নন্দীগ্রাম আসনে দাঁড়াবেন। সেই জন্য নিজের পোঁ ধরা অফিসারদের ওই জেলাতে ট্রান্সফার করা হচ্ছে। ওঁর উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার খুব শখ। সেই উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য উনি নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে দাঁড়াবেন বলে খবর আছে।” পরে যদিও নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা এবার ঠিক করেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানেই দাঁড়াবেন, সেইখানেই হারাব।”
তবে পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব লোকসভার ফলের পর শুভেন্দুকে অপছন্দের তালিকায় ফেলে দিয়েছেন। তাই নন্দীগ্রামের বুকে পঞ্চায়েতেও তৃণমূল জিতেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর অধিকারীর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ আসন ধরে রাখা। আর ওইখানে অভিষেক-মমতাকে লাগবে না। একজন বুথস্তরের তৃণমূল নেতাও জিতে যাবেন।”
এখানে উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসে। সেই সময় রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ছমাস পর ভবানীপুরে উপনির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। অপরদিকে, শুভেন্দু অধিকারীও সাংসদ ছিলেন। পরে তিনি সাংসদ পদ ছেড়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন। মন্ত্রীও হন। ফলত, এ অভিষেকের ক্ষেত্রেও তেমনটা হবে কি না সেই নিয়েই জল্পনার পারদ আরও একবার উস্কে দিলেন সুকান্ত।