কলকাতা : রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিরোধীরা। কখনও বিধানসভায়, কখনও লোকসভায় এই ইস্য়ুতে সরব হচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। আর সেই আবহেই বাংলার সাংসদদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কোন বিষয়ে আলোচনা করতে তাঁদের ডাকা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে বঙ্গ বিজেপি কোন দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন, তা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, রাজ্যের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরার পাশাপাশি, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবিও জানাবেন তাঁরা।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার জানান, রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করবেন তাঁরা। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী আগে থেকেই এ বিষয়ে জানেন, তবে এবার সাংসদরা সে কথা জানাবেন মোদীকে। পাশাপাশি, বিজেপি সাংসদ আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবিও জানাবেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘গত ৭ দিনে অনেকে খুন হয়েছেন, ধর্ষিত হয়েছেন, মালদহে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। মুঙ্গের থেকে লোক এসেক এখানে অস্ত্র তৈরি করছে। পরিস্থিতি আর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নিয়ন্ত্রণে নেই।’ কোন ধারায় কেন্দ্র হস্তক্ষেপের করতে পারে, সেই ধারা প্রয়োগ করার আর্জিও জানাবেন তাঁরা।
বুধবার সকালে মোদীর বাসভবনে আমন্ত্রণ করা হয়েছে বঙ্গ বিজেপির ১৭ জন সাংসদকে। এর আগে বগটুই-কাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলার সাংসদরা। এই ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হিংসাত্মক হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুঃখ ও সমবেদনা প্রকাশ করেন তিনি। এই জঘন্য কাজ করার জন্য দোষীদের কঠোর শাস্তি দেবে রাজ্য, এমন আশা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। আর ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্তভার গিয়েছে সিবিআই-এর হাতে।
এ দিকে, অধীর চৌধুরী, সৌমিত্র খাঁ সহ বিরোধী দলের সাংসদরা রাজ্যে ৩৫৫ ধারা জারি করার দাবি জানিয়েছেন। ৩৫৫ ধারার অর্থ হল কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ। যদিও কেন্দ্র আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, তাই কেন্দ্র এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে মোদীর সঙ্গে বাংলার সাংসদদের সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Narendra Modi: মতুয়া মেলায় ভাষণের আগে বড় মা-র সঙ্গে ছবি শেয়ার, পুরানো স্মৃতি রোমন্থন নমোর