Sukhendu Sekhar Roy: পদ ছাড়লেন সুখেন্দু, RG Kar-কাণ্ডের আবহে বড় সিদ্ধান্ত
Sukhendu Sekhar Roy: প্রসঙ্গত, তিলোত্তমার ঘটনার প্রথম থেকেই প্রতিবাদী ছিলেন তৃণমূল সাংসদ। শুরুতেই তিনি সওয়াল করেছিলেন, আরজি করের ঘটনা কারও একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। এরপর রাত দখলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও যোগ দিতে দেখা যায় তাঁকে।
কলকাতা: আরজি করের ঘটনার পর থেকেই কার্যত’বিদ্রোহী’হয়ে উঠেছেন তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। কখনও ইঙ্গিতবাহি কার্টুন পোস্ট, কখনও আবার পুলিশ কমিশনারকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন সাংসদ। এই সবের মধ্যেই এবার তৃণমূল মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-র সম্পাদক পদ থেকে দিলেন ইস্তফা। ঘনিষ্ঠ মহলে সাংসদ জানিয়েছেন, মূলত দলের বিভিন্ন কাজে এবং দলীয় সুপ্রিমোর একাধিক সিদ্ধান্তে বিরক্ত হয়েই এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তিলোত্তমার ঘটনার প্রথম থেকেই প্রতিবাদী ছিলেন তৃণমূল সাংসদ। শুরুতেই তিনি সওয়াল করেছিলেন, আরজি করের ঘটনা কারও একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। একাধিক ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। এরপর রাত দখলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতেও যোগ দিতে দেখা যায় তাঁকে। যোধপুর পার্কের ধরনায় বসেন তিনি। এমনকী নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে প্রাক্তন সিপি বিনীত গোয়েলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুখেন্দু। লিখেছিলেন, বিনীত গোয়েলকেও যাতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিলোত্তমার ঘটনাকে কেন আত্মহত্যা বলা হল সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। পরে যদিও লালবাজারের তলবে সেই পোস্ট মুছে ফেলেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।
অর্থাৎ আরজি কর কাণ্ড নিয়ে লাগাতার প্রশাসনের বিভিন্ন কাজ নিয়ে সরব হয়েছেন সুখেন্দুশেখর রায়। বারবার নিজের অসন্তোষের বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন তিনি। এবার তৃণমূল মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-র সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিতেই সুখেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ক্রমাগত বাড়চ্ছে জল্পনা। হই তিনি এই পদ ছাড়লেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন।