কলকাতা: ডিসেম্বর নিয়ে এখন জোর চর্চা বাংলার রাজনৈতিক মহলে। ডায়মন্ড হারবারের সভায় গিয়ে ডিসেম্বরে লাড্ডু বিলি করার কথা বলে আগেই জল্পনা বাড়িয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তাঁর মুখে নির্দিষ্ট তিনটি তারিখের কথা শোনা যেতেই মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতারা। ১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর কী ঘটবে তা দেখার জন্য বাংলার মানুষকে অপেক্ষা করতে বলেছেন শুভেন্দু। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া।
কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরি এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি ‘পোস্ট’ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘১২ তারিখ বিয়ে বাড়ি, ১৪ তারিখ বউ ভাত আর ২১ তারিখ হানিমুন।’ শুভেন্দুর কথা বিশ্লেষণ করেই এমনটা বলেছেন বলে দাবি করেছেন সুপ্রকাশ। তবে তৃণমূল যতই কটাক্ষ করুক না কেন, বিজেপি ডিসেম্বর নিয়ে সুর চড়িয়েই যাচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি অসীম মিশ্র পাল্টা তোপ দেগেছেন সুপ্রকাশকে। তিনি বলেন, ‘বিয়ে বাড়ি হবে পুলিশের কাছে, আর হানিমুন হবে সিবিআই-ইডির কাছে।’ পরে বিষয়টাকে আরও ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘বিয়ে বাড়ি হল জেরা, বউ ভাত হল কোর্টে পেশ করা আর হানিমুন হল জেরার পর জেল হেফাজত।’
তবে জল্পনা জিইয়ে থাকছে ওই তিনটি তারিখ নিয়ে। বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্যে তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, ওই তিনদিনের মধ্যে যদি কেন্দ্রীয় সংস্থার কোনও তৎপরতা দেখা যায়, তাহলে বোঝা যাবে, বিজেপি নেতাদের কথাতেই সংস্থাগুলি কাজ করছে। বিরোধী দলনেতাকে ‘মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত’ বলেও কটাক্ষ করেছেন কুণাল।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্রে সভা করতে গিয়ে শুভেন্দ বলেন, ‘ডিসেম্বরে আবার আসব। লাড্ডু নিয়ে আসব, কারণটা বলা যাবে না।’ পরে সাংবাদিকরা তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি ভাল কিছু একটা হবে।’