
কলকাতা: ছাব্বিশ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন করছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। চিহ্নিত অযোগ্য বাদে বাকিরা যাতে আপাতত কাজ চালিয়ে যেতে পারেন সেই কারণে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল পর্ষদ। এই মামলার শুনানি বৃহস্পতিবার। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এই মামলা শুনতে পারেন।
গত ৩ এপ্রিল চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দেয় শীর্ষ আদালত। এর আগে একই রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টও। সেই রায়ই বহাল রেখেছিল সর্বোচ্চ আদালতও। এর ফলে ২৫, ৭৩৫ জনের চাকরি বাতিল হয়। শুধু মাত্র মানবিক কারণে ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের চাকরি বহাল থাকে।
কিন্তু একসঙ্গে এতজনের চাকরি না থাকলে প্রভাব পড়তে পারে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায়। স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে অশিক্ষক কর্মী না থাকলে স্কুল চালনোই কার্যত মুশকিল হয়ে যাবে বলে অনুমান করে পর্ষদ। এরপর এই সমস্যার কথা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে ফের আবেদন করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে সংকটে না পড়ে সেই কারণে অশিক্ষক কর্মচারিরা কাজ চালিয়ে যাক। শীর্ষ আদালতের নির্দেশিত পরবর্তী প্যানেল চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক অশিক্ষক কর্মচারি যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, সেই কারণে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের আবেদন করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তারই শুনানি রয়েছে এদিন।