Tiljala Minor Death: পুলিশকে বোকা বানাতেই কি তান্ত্রিক যোগের তত্ত্ব? তিলজলা কাণ্ডে অভিযুক্তের বয়ান ঘিরে রহস্য
Tiljala Minor Death: যেদিন থেকে পুলিশ তান্ত্রিক যোগের কথা জানতে পেরেছ, ঠিক সেই দিন থেকেই ওই তান্ত্রিকের খোঁজে ময়দানে নেমে পড়েছেন গোয়েন্দারা।
কলকাতা: তিলজলা কাণ্ডে (Tiljala Incident) আগেই পুলিশ জানতে পেরেছে তান্ত্রিক যোগের কথা। সাতবছরের শিশুখুনের ঘটনায় ধৃত অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে, এক তান্ত্রিকের নিদান ছিল নবরাত্রির সময়ে কোনও শিশু বলি দিলে ধৃতের বাড়িতে সন্তান আসবে। আর সন্তান লাভের আশায় এমন নিকৃষ্ট ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। পুলিশি জেরায় তা কবুলও করেছেন অভিযুক্ত। যেদিন থেকে পুলিশ তান্ত্রিক যোগের কথা জানতে পেরেছ, ঠিক সেই দিন থেকেই ওই তান্ত্রিকের খোঁজে ময়দানে নেমে পড়েছে তারা। তবে শিশুমৃত্যুর ঘটনার দু-তিনদিন কেটে গেলেও এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্রের খবর, এই ঘটনায় অভিযুক্ত তান্ত্রিককে খুঁজে পাওয়াই এখন লক্ষ্য পুলিশের কাছে। তার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে পুলিশ। এখনও নাগাল পাওয়া যায়নি তাঁর। তবে ধৃত ব্যক্তির বয়ানে আদৌ কতটা সত্যতা রয়েছে তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় অভিযুক্তর ব্যক্তির বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। এই তান্ত্রিক তত্ত্ব কতটা সত্যি নাকি তদন্তের মোড় ঘোরাতে ধৃত ব্যক্তি মিথ্যে বলছেন তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই তান্ত্রিকের খোঁজে উত্তর কলকাতার অলি-গলি চিরুনি তল্লাশি করছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত সন্ধান মেলনি তাঁর। এই অবস্থায় ধৃতের বয়ানের সত্যতা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে পুলিশের মনে বলেই জানা যাচ্ছে।
এ দিকে, নাবালিকা খুনের ঘটনায় গত রবিবার রাত থেকেই রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছিল তিলজলা থানা। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে নাবালিকার আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা থানা ঘেরাও করেন। সময় যত গড়ায় ততই মারমুখী হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। এর পর গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। বন্ধ ফটকের উল্টো দিকে থাকা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইট, পাথর ছোড়া শুরু হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের প্রিজন ভ্যান, মোটরসাইকেলেও। ইটের আঘাতে ২ জন পুলিশকর্মী জখমও হন বলে খবর মিলেছে। এই অবস্থায় মোটে ২০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ১ এপ্রিল পর্যন্ত তাঁদের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ২৮৩, ৪২৯, ৩৩২ ধারায় মামল রুজু করা হয়েছে।