কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে গিয়ে সুপারে ঘরে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছেন বলে দাবি শুভেন্দুর। এবং বৈঠকে আরও কারা উপস্থিত ছিলেন, তার তালিকাও দিয়েছেন বিজেপি বিধায়ক। এসএসকেএমে গিয়ে ইডি-র হাতে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু খরব মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে ইন্টারকমের মাধ্যমে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে মমতা কথা বলেছেন বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর। এই অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও শুভেন্দুর অভিযোগকে ভিত্তিহীন, কাল্পনিক বলেছে তৃণমূল।
মমতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শুভেন্দু বলেছেন, “গতকাল ২.৪৫ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমের সুপারের ঘরে বসেছিলেন। সন্ধ্যে ৭টা অবধি বৈঠক চলেছে। আমার কাছে নির্দিষ্ট খবর রয়েছে, সেখানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সেখান থেকে হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ইন্টারকমে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরের বৈঠক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। অভিষেক ছিলেন। সেখানে নতুন ডিজি রাজীব কুমার ছিলেন। লোকসভা ভোটে কীভাবে ভোট লুট করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
এ বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “হাসপাতালে চিকিৎসা হল। তার পর বৈঠকগুলো কার সঙ্গে করলেন? ইন্টারকমে কথা বলার ব্যবস্থা করলেন জেল হেফাজতে থাকা অভিযুক্তের সঙ্গে। সুজয়কৃষ্ণের গলা যাতে আর ঠিক না হয়, বা গলার স্বর না মেলে, তার ব্যবস্থা করলেন! খুব বেআইনি কাজ করলেন।” এই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, “এই অভিযোগ কাল্পনিক, ভিত্তিহীন, মিথ্যাচার। এর কী জবাব দেব। যা মুখে আসছে বলছে। সব জায়গায় এ ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছে। বাজে কথা বলা রুটিন বানিয়ে ফেলেছে। চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। চিকিৎসা করিয়ে চলে এসেছেন।”