কলকাতা : বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট বৈঠকে বসছে মমতার মন্ত্রিসভা। সাধারণভাবে এটি একটি রুটিন বৈঠক, তবে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর এই বৈঠকের তাৎপর্য অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। আর এরই মধ্যে রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গনেশনের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুর্নীতিতে নাম জড়ানোদের মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করতে পদক্ষেপ করার দাবি জানালেন তিনি। রাজভবন থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমি বলেছি, আপনি মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিন, যাতে এই দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়।”
শুভেন্দুর বক্তব্য, “চাকরি নিয়ে যা চলছে, যেভাবে দুর্নীতি সামনে আসছে, তাতে এই দুর্নীতিগ্রস্ত মন্ত্রীদের বহিষ্কার করার সুপারিশ তো মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী করবেন না। কেন, তা ময়নাগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী গতকাল বলেছেন।” এই প্রসঙ্গে অনন্তদেবের বক্তব্যকেও সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বললেন, “চাকরির সিন্ডিকেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে চালাতেন। অনন্ত অধিকারী যখন তাঁর ছেলের চাকরি চাইতে গিয়েছেন, তখন বলেছেন, অনন্তদা আমাকে না দিয়ে পার্থদাকে দিয়ে দিন। আমি পার্থদাকে বলে দেব।” এমন পরিস্থিতিতে যাতে দুর্নীতিগ্রস্তদের মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়, মুখ্যমন্ত্রীকে সেই পরামর্শ দেওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গনেশনের কাছে অনুরোধ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীরা।
প্রসঙ্গত, আগামিকাল (বৃহস্পতিবার) বৈঠকে বসছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। তার ঠিক আগের দিনই ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করার পরামর্শ দেওয়ার জন্য বিরোধী দলনেতার এই অনুরোধ স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। যদিও রাজ্যের শাসক দলের তরফে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, যদি দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দলের বা মন্ত্রিসভার কোনও পদ থেকে সরানো হয়নি পার্থ বাবুকে। এমন পরিস্থিতিতে আগামিকাল রুটিন বৈঠকে বসতে চলেছে মমতার মন্ত্রিসভা।