
কলকাতা: এক দিকে বাঙালি অস্মিতায় শান দিতে পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে তাঁর বিরুদ্ধেই ‘রোহিঙ্গা’ ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার ছাব্বিশের লড়াইয়ের ‘ইস্যুগুলি’ যেন বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন ধর্মতলার মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। ভারত সরকার ও বিজেপির আচরণে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কেন্দ্র একটা নোটিফিকেশন করেছে। আমরা সেটাকে চ্যালেঞ্জ করব।’
কী রয়েছে সেই নোটিফিকেশনে?
মমতা দাবি, ‘যে রাজ্যে বিজেপি আছে, সেখানেই ওই বিজ্ঞপ্তি যাচ্ছে। যাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে বাংলা ভাষায় কথা বললে, গ্রেফতার করবে, ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে।’ শুধু তাই নয়, এদিনের মঞ্চ থেকে বিএসএফ-কেও স্মরণ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে সিআইএসএফ, বিএসএফ, সিআরপিএফ। বিমানে কেউ এলে সেটিও কেন্দ্রের অসামরিক পরিবহণ মন্ত্রক দেখে। তা হলে অনুপ্রবেশ আটকানো দায়ও তাদের।’
যাতে বেজায় ক্ষেপেছেন শুভেন্দু। এদিন কমিশনের অফিসে যেতে গিয়ে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, যারা অনুপ্রবেশকারী, তারা বাদ যাবেই। শুভেন্দুর কথায়, ‘বিহারে ৩০ লক্ষ বাদ গেলে বাংলায় ৯০ লক্ষ বাদ যাবে।’ পাশাপাশি, কমিশনের অফিস থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করার সময় বাংলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
শুভেন্দু বলেন, ‘জাতীয় গড়ের থেকে বাংলার বৃদ্ধি ১০ শতাংশ বাড়ানো। ভোটার বেড়েছে ২৫ শতাংশ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালে মেখলিগঞ্জে ভোটার বেড়েছে ২৪.৭৭ শতাংশ। মাথাভাঙায় বেড়েছে ২১.৭৯ শতাংশ। কোচবিহার উত্তর ১৯.৫৯ শতাংশ। কোচবিহার দক্ষিণ ১৯.৪৭ শতাংশ। শীতলকুচিতে বেড়েছে ২৪.৬২ শতাংশ। দিনহাটায় বেড়েছে ২৫.৯৩ শতাংশ। একই ভাবে নাটাবাড়ি, কুমারগ্রাম ও তুফানগঞ্জে ২১.১০ শতাংশ। লালচিনিতে ২৩.৩২ শতাংশ।’ এরপরেই তাঁর সংযোজন, ‘৯টি বাংলাদেশ সীমানা লাগোয়া জেলায় ভোটার বৃদ্ধি গড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এমনকি কলকাতাতেও রাজারহাট ও কসবার ডেমোগ্রাফি রোহিঙ্গা ঢুকিয়ে পাল্টে দিয়েছে।’