AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Suvendu Adhikari: ‘কাজ করবেন না, টাকা পাবেন না’, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঠিকাদারদের পরামর্শ শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: একশো দিনের কাজের টাকা বাকি রয়েছে, বাকি রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের বরাদ্দের অংশও।

Suvendu Adhikari:  'কাজ করবেন না, টাকা পাবেন না', পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঠিকাদারদের পরামর্শ শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Mar 09, 2023 | 3:26 PM
Share

কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার শাসকদল। তারই মধ্যেই আরও বিস্ফোরক তথ্য দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার নাম বদলে দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাড়ে ১১ হাজার কিমি রাস্তার জন্য নাকি বরাদ্দ হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। গ্রামের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে রাস্তা তৈরি হচ্ছে।” এরপরই ঠিকাদারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি ঠিকাদার বন্ধুদের বলব কাজ না করতে। আমি বলব আপনারা এই কাজ করবেন না। পেমেন্ট পাবেন না।”

শুভেন্দু অভিযোগ করেন, একশো দিনের পুকুর চুরিতে নেতা থেকে কর্মীর নাম জড়িয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচনের আগে গ্রামের ভোটব্যাঙ্ককে সুদৃঢ় করতে উন্নয়নের ওপর জোর দেয় শাসকদল। এ দৃষ্টান্ত আগেও লক্ষ্য করা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এবারের বাজেট ঘোষণার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সরব, কেন্দ্র বরাদ্দের টাকা দিচ্ছে না। একশো দিনের কাজের টাকা বাকি রয়েছে, বাকি রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রের বরাদ্দের অংশও।

এর আগে আবাস যোজনার নাম পরিবর্তন করে রাজ্য সরকার প্রকল্পের টাকা ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তোলে রাজ্যের বিরোধী দল। কেন্দ্রের তরফ থেকে দলও আসে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি ও প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগে দীর্ঘ ৮ মাস বাংলাকে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র বরাদ্দ টাকা পাঠায়নি কেন্দ্র। সম্প্রতি শর্ত সাপেক্ষে তা চালু করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় ও নীচু স্তরে পঞ্চায়েত দুর্নীতি রুখতে তৎপর কেন্দ্র। এবার ঠিকাদারদেরই কাজ না করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এ প্রসঙ্গে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “ওঁ বাংলার উন্নয়ন চায় না। এর আগে তো মিড ডে মিল দুর্নীতি বলছিল, আবাস দুর্নীতি বলছিল, ওগুলো তো কিছুই হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের রাস্তা প্রশস্ত করেন, সেটাও ওঁদের ভাল লাগে না। রেজিলিউশন আনা হল, পরিষদীয় মন্ত্রী নাম চাইলেন, নাম দিল না। এটারই মানে ওঁরা উন্নয়ন চান না।”