Suvendu Adhikari: ঠিক কোন শব্দবন্ধ বলার জন্য সাসপেন্ডেড শুভেন্দু অধিকারী? স্পিকার বললেন, ‘আমি তো ভাবতেই পারছি না, উনি এগুলো বললেন’

Suvendu Adhikari: তিনি বললেন, "২০২১ সাল থেকে ওদের একটাই নাম ভজ, শুভেন্দু, শুভেন্দু, শুভেন্দু। চার বার সাসপেন্ড করেছে। আট মাস, আর এক মাস নিলে ৯ মাস হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত ৫টা প্রিভিলেজ এনেছে, এটা একটা ওয়ান টাইপ অফ নিত্যকর্ম তৃণমূলের।"

Suvendu Adhikari: ঠিক কোন শব্দবন্ধ বলার জন্য সাসপেন্ডেড শুভেন্দু অধিকারী? স্পিকার বললেন, আমি তো ভাবতেই পারছি না, উনি এগুলো বললেন
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 18, 2025 | 2:31 PM

কলকাতা:  সোমবার থেকে বিধানসভায় বেনজির সংঘাত। অধিবেশন চলাকালীনই কাগজ ছুড়ে মারার অভিযোগ ওঠে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। শুভেন্দু-সহ চার বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। সোমবারের পর মঙ্গলবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস আনা হয়। শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শুভেন্দুর ঠিক কোন মন্তব্যের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে? বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়ে বললেন শুভেন্দু।

তিনি বললেন, “২০২১ সাল থেকে ওদের একটাই নাম ভজ, শুভেন্দু, শুভেন্দু, শুভেন্দু। চার বার সাসপেন্ড করেছে। আট মাস, আর এক মাস নিলে ৯ মাস হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত ৫টা প্রিভিলেজ এনেছে, এটা একটা ওয়ান টাইপ অফ নিত্যকর্ম তৃণমূলের। ভিতরে ওদের বক্তব্যের ভাষা আমি শুনেছি, ওরা ভয় পেয়েছে। হিন্দু দেবদেবীর সম্মান ও হিন্দুত্বের যে আওয়াজকে ভয় পেয়েছে।”

প্রসঙ্গত, সোমবারের পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত বিধানসভা চত্বর। বিধানসভার গাড়িবারান্দায় পাগড়ি মাথায় বেঁধে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। এদিন বিধানসভার আলোচনায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা বয়কট করেন বিজেপি বয়কটরা। শুভেন্দু আরও বলেন, “আমরা গর্বিত হিন্দুদের জন্য বলতে গিয়ে সাসপেন্ড করেছে। বাগদেবীর অপমান, প্রতিবাদ করতে গিয়ে বার করে দিয়েছে মমতার সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাবির আলি ও আমিন মোল্লাদের বাধাদানের জন্য প্রতিবাদ করেছিলাম। তাই আমাকে আর আমার চার সহকর্মীকে এক মাস বিধানসভার বাইরে রাখতে চাইছে।”

এই বক্তব্যের জন্য শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন,  “উনি কী ধরনের কথা বলছেন! আমি তো ভাবতেই পারছি না, উনি বিধানসভার ভিতরেই দাঁড়িয়ে এই ধরনের কথা বলছেন। এই প্ররোচনায় পা না দিয়ে বাংলার মানুষ যে শান্ত রয়েছেন, তাতেই আমি আশ্বস্ত হচ্ছি। উনি যেভাবে প্ররোচনা দিচ্ছেন, তাতে অশান্তি হতে পারে। ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত।”