কলকাতা: গতকাল বিধানসভায় গিয়েও ফিরতে হয় শুভেন্দুকে। চিঠি নিয়ে গিয়েও জমা দিতে পারেননি তিনি। আজম শুক্রবার সেই চিঠিই জমা দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষের দফতরে। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আর্জি জানিয়ে এই চিঠি জমা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। জানা গিয়েছে ৬ পাতার একটি চিঠি জমা দিয়েছেন তিনি। এ দিন বেলা ১২ টা নাগাদ তাঁর এই আবেদন গৃহীত হয়েছে অধ্যক্ষের দফতরে।
‘দলত্যাগ বিরোধী আইন আমি কার্যকর করে দেখাব।’ মুকুল রায়ের দলবদলের পর এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেই আবেদন জানিয়েই এই চিঠি দিয়েছেন তিনি। এ ভাবে ৬৪ পাতার চিঠি দেওয়ার বিষয়টা কার্যত নজিরবিহীন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ওই চিঠিতে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনের পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি, আদালতে থাকতে পারেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী
বিধায়ক পদ ছাড়ার জন্য গত সোমবার মুকুল রায়কে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তারপর ৩ দিন কেটে গেলেও মুকুল পদত্যাগ করেননি। বিজেপির পক্ষ থেকেও এর মধ্যে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।এরই মধ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দেওয়ার প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন নিয়ে বিধানসভায় যান শুভেন্দু। কিন্তু, দিনের শেষে বিফল মনোরথ হয়ে ফিরতে হয় বিরোধী দলনেতাকে। যে সময় তিনি বিধানসভায় যান, তখন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না। তাই তাঁর হাতে চিঠি তুলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। সাধারণত অধ্যক্ষ উপস্থিত না থাকলে রিসিভিং বিভাগের কোনও কর্মী ওই চিঠি গ্রহণ করেন।