কলকাতা : রাজ্য – রাজ্যপাল সংঘাতের বাতাবরণ অব্যাহত। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতাইয়ে যেতে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে সকালেই রাজ্য সরকারকে এক হাত নিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যসচিবের থেকে। আর তারপর সন্ধ্যায় ফের রাজ্যপালের নিশানায় মমতার সরকার। এবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে স্পোর্টস ক্লাবগুলিকে অনুদান এবং মা ক্যান্টিনের মাধ্যমে সরকারি তহবিলের অপব্যবহার। যদিও এই অভিযোগ সরাসরি রাজ্যপালের নয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিযোগকে টুইটারে তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল।
বুধবার বিকেলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে শুভেন্দু ফের নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যপালের কাছে। তাঁর অভিযোগ, প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকার আর্থিক নয়-ছয় করেছে মমতার সরকার। সরকারি তহবিলের অন্যায়ভাবে অপব্যবহার করা হয়েছে বলে ধনখড়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন শুভেন্দু। বিশেষ করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করার জন্য মা ক্যান্টিনকে ব্যবহার করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি তহবিলের এই অপব্যবহারের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু রাজ্যপালের কাছে।
LOP @SuvenduWB called on Guv Shri Jagdeep Dhankhar today & demanded thorough probe in criminal diversion of public funds over thousand crores @MamataOfficial for political purposes by way of sports clubs donations and MAA Canteen. pic.twitter.com/KDCQLujSDI
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 19, 2022
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ একইরকম অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। টুইটারে অভিযোগ তুলে লিখেছিলেন, স্পোর্টসে বড় কেলেঙ্কারি। তাঁর বক্তব্য ছিল, রাজ্য সরকার প্রায় ২৫ হাজার স্পোর্টস ক্লাবকে খেলাধুলোয় সাহায্যের জন্য পাঁচ লাখ টাকা করে দিয়েছে। এর জন্য মোট খরচ হয়েছে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। ভারতী ঘোষের অভিযোগ, এই স্পোর্টস ক্লাবগুলির বেশিরভাগই ভুয়ো। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, জলসা এসবের ব্যবস্থা হলেও খেলাধুলোর কোনও আয়োজন করেনি ক্লাবগুলি।
এদিকে বুধবার সকালেও রাজ্য সরকারকে টুইট বাণে বিদ্ধ করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সকালের টুইটে রাজ্যের বক্তব্য ছিল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাই যেতে কেন বাধা দেওয়া হয়েছিল? এক সপ্তাহের মধ্যে তার রিপোর্ট রাজ্যপালের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিবকে।
আরও পড়ুন : COVID 19 West Bengal: একদিনে হাজারেরও বেশি বাড়ল সংক্রমণ, মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের