
পূর্ব মেদিনীপুর: ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আবারও একবার হিন্দুত্বের অস্ত্রে শান! রথযাত্রার দিন একাধিক কর্মসূচি বঙ্গ বিজেপির। রথের দিন কলকাতায় রয়েছে দুটি কর্মসূচি। সেখানে অংশ নেবেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তমলুক ও মেচেদায় রথযাত্রার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন শুভেন্দু। রবিবার ইতিমধ্যেই রথযাত্রা কমিটিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্য করার কথাও বলা হয়েছে।
সাধু সন্তদের নিয়ে একটি বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ” একতা যদি গড়ি না তুলি, কী হতে পারে বাংলাদেশ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সিরাজগঞ্জের রবিঠাকুরের কাছাড়িবাড়িটাও ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে। যা বলেছি, প্রমাণ হয়েছে। মনটা বিচলিত। পুলিশ এখন সক্রিয়, যখন হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়েছে।”
শুভেন্দু বলেন, “রামনবমীর মতো শক্তি দেখাক হিন্দুরা। রাস্তা ভরিয়ে দিতে হবে, সাজিয়ে দিতে হবে। সনাতনের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।”
দিঘার জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন আর সেখানে দিলীপ ঘোষের যাওয়া-সবটাই বঙ্গ রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর আগে গত রামনবমীও ছিল যুযুধান পক্ষের শক্তি প্রদর্শনের দিন। বেনজির প্রস্তুতিও ছিল এ বারের রামনবমী ঘিরে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিশেষ চ্যালেঞ্জ ছিল শাসকদলের কাছেও। কীভাবে বিরোধিতা না করেও, বিরোধী দলকে খোলা ময়দান না দেওয়া যায়। গত কয়েক বছরে বঙ্গ রাজনীতিতে ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানে লেগেছে রাজনৈতিক রং। শুভেন্দু অধিকারী নিজের নির্বাচনী এলাকা নন্দীগ্রাম থেকেই রামনবমী উদ্যাপন শুরু করেন। এবার রথযাত্রাও থাকছে বিশেষ কর্মসূচি।