AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রাজীবের বিস্ফোরক মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা, কী বললেন শুভেন্দু?

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) ফেসবুক পোস্ট ঘিরে আলোড়ন তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

রাজীবের বিস্ফোরক মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা, কী বললেন শুভেন্দু?
ফাইল ছবি
| Updated on: Jun 08, 2021 | 8:15 PM
Share

নয়া দিল্লি: ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই দলবদলু অনেক নেতার গলাতেই নতুন করে সুর বদলের ইঙ্গিত স্পষ্ট হয় উঠছে। সোনালী গুহ একেবারে সরাসরি তৃণমূলে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন, শুভ্রাংশু রায়কে নিয়েও জল্পনা চলছিল। তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় যে একেবারে প্রকাশ্যে এ ভাবে বিস্ফোরক হয়ে উঠবেন, তা বোধ হয় প্রত্যাশিত ছিল না। মঙ্গবার রাজীবের ফেসবুক পোস্ট প্রকাশ্যে আসার পর শুভেন্দু বললেন, ‘আগে ঘরছাড়া মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ।’ শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন,  রাজীবের জন্য ডোমজুড়ে যাঁরা লড়াই করেছিলেন তাঁদের অনেকেই এখন বাড়ি ছাড়া।

মঙ্গলবার দিল্লিতে অমিত শাহ-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বাড়িতেই গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানে রাজীবের পোস্ট নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে শুভেন্দু বলেন, ‘উনি কী বলেছেন জানি না, তবে, যে কর্মীরা রাজীবের জন্য ডোমজুড়ে লড়াই করেছেন বা শুভেন্দুর জন্য লড়েছেন, তাঁদের অনেকেই আজ ঘরছাড়া। আগে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিৎ। তাঁদের ঘরে ফেরানো উচিৎ।

এ দিন শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় ২০-৩০ জন বিজেপি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়ানো এই মুহূর্তে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাঁদের বাড়ি ফেরানোর উদ্যোগ নিতে হবে। শুভেন্দু জানান দিল্লিতে বাঙালি অধ্যুষিত সিআর পার্কেও অনেকে পালিয়ে এসে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছেন।

আরও পড়ুন: আমার মা’কে ধর্ষণ করতে এলে পালটা মার দিতে হবে, সংবিধান অধিকার দিয়েছে: অর্জুন

উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে দল বদল করে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ঘাসফুল শিবিরের ওপর অভিমানে চোখে জল এসে যায় তাঁর। ডোমজুড় থেকে বিজেপির প্রার্থী হলেও ভোটে জেতেননি রাজীব। আর সেই নেতাই এ দিন বোমা ছুড়লেন ফেসবুকে। এ দিনের ফেসবুক পোস্টে ঠিক কী লিখেছেন রাজীব? রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী লিখেছেন, “সমালোচনা তো অনেক হল….মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে আসা সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না।” হুবহু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই তিনি লেখেন, “আমাদের সকলের উচিত রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে কোভিড ও ইয়াস-এর মতো দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা।”