Suvendu Adhikari: ‘যোগ্যদের’ জন্য বিধানসভায় সরকার-বিরোধীকে এক ছাদের তলায় আনার বার্তা শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari On SSC: সোমবার থেকে বিধানসভায় শুরু হচ্ছে বিশেষ অধিবেশন। চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আর সেই বিশেষ অধিবেশনে শিক্ষকদের চাকরি বহাল রাখতে সর্বদলীয় প্রস্তাব আনার বার্তা বিরোধী দলনেতার। এদিন শুভেন্দু বলেন, "গণতন্ত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চূড়ান্ত।"

Suvendu Adhikari: যোগ্যদের জন্য বিধানসভায় সরকার-বিরোধীকে এক ছাদের তলায় আনার বার্তা শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারীImage Credit source: নিজস্ব চিত্র

| Edited By: Avra Chattopadhyay

Sep 01, 2025 | 2:15 PM

কলকাতা: রাজনীতির কচকচানি নয়। বরং যোগ্য়দের ‘বিচার’ দিতে এক জোট হওয়ার বার্তা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। এদিন বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েই এই যৌথ উদ্যোগের বার্তা দিয়েছেন তিনি। বার্তা দিয়েছেন নজির স্থাপনেরও।

কী বললেন শুভেন্দু?

সোমবার থেকে বিধানসভায় শুরু হচ্ছে বিশেষ অধিবেশন। চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। আর সেই বিশেষ অধিবেশনে শিক্ষকদের চাকরি বহাল রাখতে সর্বদলীয় প্রস্তাব আনার বার্তা বিরোধী দলনেতার। এদিন শুভেন্দু বলেন, “গণতন্ত্রে আইন প্রণেতা হিসাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই চূড়ান্ত। রাজ্য যদি ১৮০৬ জনকে বাদ দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার ‘যোগ্য’ তালিকা পেশ করে, আমরা তাতে সর্বদলীয় প্রস্তাবে সমর্থন করব। তারপর সেই প্রস্তাব নিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাক। রাজ্য তাদের বলুক, বাংলায় একটা নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাঁচানোর জন্য শাসক-বিরোধী রাজনীতির রং ভুলে এদের চাকরি বহালের জন্য সর্বসম্মত প্রস্তাব দিয়েছে।”

তাঁর সংযোজন, “আমি একটা চিঠি মুখ্যসচিবকে লিখছি ও শঙ্কর ঘোষ স্পিকারকে লিখছেন। ৪ তারিখ এই প্রস্তাব আনুক। ৩০ মিনিটের জন্য হলেও কথা হোক। এটা বিতর্কের বিষয় নেই। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ১৮০৬ বাতিল হয়ে গিয়েছে। এখন যারা রয়েছে ১৫ হাজার শিক্ষক তারা তো যোগ্য। তাদের চাকরি বহাল রাখতে হবে। আমি কথা দিচ্ছি, আজ সন্ধ্যার মধ্যে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠাব।”

তবে রাজ্য সরকার যদি কোনও ব্যবস্থা না নেয়, চাকরিহারাদের সঙ্গে ৭ তারিখ বিকালে তিনি দেখা করবেন বলেই আশ্বাস দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতার এই পদক্ষেপে খুশি চাকরিহারাদের একাংশ। এদিন আন্দোলনকারী চিন্ময় মণ্ডল বলেন, “যদি উনি এটা করেন, তা হলে খুব ভাল হয়। যারা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছেন, তাদের যেন সুরক্ষা প্রদান করা হয়। আর বিধানসভায় এমন একটা প্রস্তাব পাশ হলে, তা সত্যিই নজিরবিহীন হয়ে থাকবে।”