Suvendu And Samik: ‘সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি থাকবে না’, শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিনে হার্ডলাইনে শুভেন্দু, ফের উল্টো সুর শমীকের

Suvendu And Samik: সদ্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিজেপির রাজনীতিকে অন্যরকম করে ব্যখা করতে দেখা গিয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়, উল্টে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে নিয়ে চলার আহ্বান দিয়েছেন তিনি।

Suvendu And Samik: সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি থাকবে না, শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিনে হার্ডলাইনে শুভেন্দু, ফের উল্টো সুর শমীকের
শুভেন্দু অধিকারী ও শমীক ভট্টাচার্যImage Credit source: Facebook

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 06, 2025 | 3:53 PM

কলকাতা: সামনেই ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সংখ্যালঘু ভোট ইস্যুতে বিজেপি-র দুই নেতার কি দুই মত? একদিকে যখন বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলছেন, “একটা সময় হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে স্কুলে সরস্বতী পুজো করত…।” সেখানেই আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বললেন,”হিন্দুদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। দ্রুত এই সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি আর থাকবে না।”

সদ্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিজেপির রাজনীতিকে অন্যরকম করে ব্যখা করতে দেখা গিয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়, উল্টে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে নিয়ে চলার আহ্বান দিয়েছেন তিনি। আবার শুভেন্দু কিন্তু নিজের জায়গায় কট্টর। একসময় যেমন তিনি শুধু হিন্দুদের নিয়ে চলার কথা বলছিলেন, আজও সেই কথাই বললেন।

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে এ দিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলা এমন ছিল না। এই পশ্চিমবঙ্গে আমাদর পশ্চিমবঙ্গ নয়, আমাদের চেনা রাজ্য নয়, আমরা এমন ছিলাম না। এখানে হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে স্কুলে সরস্বতী পুজো করত, ফল কাটত। সরস্বতী পুজো করতে দিলে নবি দিবস পালন করতে হবে এই পরিস্থিতি ছিল না।” বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির আরও সংযোজন, “যাঁরা এই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, এখানে বিভাজনের রাজনীতি চলছে, সেই রাজনীতিকে বন্ধ করতে হবে। আর এটা বন্ধ করার দায়িত্ব শুধু একা রাজনৈতিক দলের নয়, সমাজেরও। তাঁদেরও এগিয়ে আসতে হবে। না হলে বাংলা আর থাকবে।”

এবার শমীক যখন সংখ্যালঘুদের এগিয়ে আসতে বলছেন, সেই সময় আবার শুভেন্দুর অন্য সুর। তিনি বললেন, “আজ হিন্দুরা কোথায়? ১৯৫১-র সেনসাসে বাংলায় হিন্দু ছিল ৮৫ শতাংশ। আজ বাংলায় হিন্দুদের সংখ্যা কমে হয়েছে ৬৭ শতাংশ। আর কিছুদিন, তারপর ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ থাকবে না। শরিয়ৎ আইনের আওতায় আসতে হবে।”