Justice Joymalya Bagchi: ‘তরুণ আইনজীবী জয়মাল্য বাগচী সওয়াল করছেন…’, হাইকোর্টে সেদিনের শুনানির কথা আজও ভোলেননি তসলিমা
Justice Joymalya Bagchi: কোর্ট রুমের বর্ণনা করে তসলিমা লিখেছেন, "ভিড় করে দাঁড়িয়েছেন কালো গাউন পরা অসংখ্য আইনজীবী। একেবারে পিছনে আমি, দ্বিখণ্ডিত-র প্রকাশক, মানবাধিকার সংস্থা এপিডিআর-এর সভাপতি, আর ক'জন বাকস্বাধীনতার পক্ষের বন্ধু।"

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি পদে তাঁকে উন্নীত করার জন্য শুক্রবারই সুপারিশ করেছে কলেজিয়াম। কলেজিয়ামের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০৩১ সালে দেশের প্রধান বিচারপতি হবেন তিনি। অন্য কোনও হাইকোর্টে না গিয়েই সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। তবে আইনজীবী হিসেবে বিচারপতি বাগচীর অবদান মনে রেখেছেন অনেকেই। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর সে কথাই মনে করালেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
বাংলাদেশের লেখিকা তসলিমা নাসরিনের লেখা ‘দ্বিখণ্ডিত’ বইটি নিয়ে দীর্ঘ সময় বিতর্ক চলেছে। বাংলাদেশে তো বটেই পশ্চিমবঙ্গেও ‘দ্বিখণ্ডিত’কে নিষিদ্ধ করার দাবি ওঠে। সেই সময় মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আর তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে তথা বইটিকে মুক্ত করার পক্ষে লড়েছিলেন তৎকালীন আইনজীবী জয়মাল্য বাগচী।
বিচারপতি বাগচীর সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার খবর শুনে সে দিনের কথা মনে করালেন তসলিমা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে একটি পোস্ট করেছেন তিনি। সেদিনের কথা উল্লেখ করে তসলিমা লিখেছেন, “২০০৫ সাল। কলকাতা হাইকোর্টে দ্বিখণ্ডিত নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে শুনানি চলছে। তরুণ আইনজীবী জয়মাল্য বাগচী সওয়াল করছেন।”
সেই মামলায় সরকার পক্ষে লড়েছিলেন তৎকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী বলাই রায়। কোর্ট রুমের বর্ণনা করে তসলিমা লিখেছেন, “ভিড় করে দাঁড়িয়েছেন কালো গাউন পরা অসংখ্য আইনজীবী। একেবারে পিছনে আমি, দ্বিখণ্ডিত-র প্রকাশক, মানবাধিকার সংস্থা এপিডিআর-এর সভাপতি, আর ক’জন বাকস্বাধীনতার পক্ষের বন্ধু।”
কীভাবে সেদিন বলাই রায়কে হারিয়ে জয়মাল্য বাগচী জিতে গিয়েছিলেন ও দ্বিখণ্ডিত-কে মুক্ত করে এনেছিলেন, সে কথাই উল্লেখ করেছেন তসলিমা। বিচারপতি বাগচীর সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার খবরে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তসলিমা।





