
মহিষবাথান: ধীরে ধীরে তীব্র হচ্ছিল গন্ধটা। পচা গন্ধে ঢাকা পড়ছিল আশপাশ। শেষ পর্যন্ত বাড়ির মালিক খবর দিলেন পুলিশ। পুলিশ এসে দরজা ভাঙতেই সব পরিষ্কার। খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গেল মহিষবাথানে। দমদমের সূর্যসেন পল্লী রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা পলাশ কান্তি মজুমদার ভাড়া থাকতেন মহিষবাথানের ওই বাড়িতে। কাজ করতেন টাটা মোটরসে। এদিন সেখান থেকেই তাঁর পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায় ঘরের মধ্যে ঝুলছে পলাশবাবুর দেহ। তা থেকেই বের হচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। তবে এটা আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ইতিমধ্যেই ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা কিছুটা কাটবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে করে শুরু হয়ে তদন্ত। পুলিশ জানাচ্ছে, তাঁরা এলাকার লোকজন ও বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথাবার্তা বলে জানতে পেরেছেন ৩ জুলাই সকাল আটটা নাগাদ শেষবার দেখা গিয়েছিল পলাশবাবুকে। সেই সময় তিনি নিজের বাইকটি পরিষ্কার করছিলেন। তারপর থেকে আর তাঁকে দেখা যায়নি।